জীবননগরে দুই কেজি ২৪৫ গ্রাম স্বর্ণসহ চার চোরাকারবারিকে আটক করেছে বিজিবি। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টাযর সময় জীবননগর উপজেলার হাসাদাহ বাজার থেকে স্বর্ণসহ চার চোরাকারবারিকে আটক করে।
আটককৃত চোরাকারবারী হলেন, নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার মঙ্গলপুর গ্রামের জিহাদ মোল্লার ছেলে এবাদুল মোল্লা (২৬), তমসুল মোল্লার ছেলে মাহাবুর হাসান (২৭), ইনসান কাজীর ছেলে রিয়াজ আলী (২১) এবং একই জেলার নড়াগাড়ী থানার থাশিয়ান গ্রামের ইয়ার আলীর ছেলে শেখ সোহেল রানা (৩৫)।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১২টাযর সময় মহেশপুর-৫৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মাসুদ পারভেজ রানা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত বৃহস্পতিবার মহেশপুর-৫৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মাসুদ পারভেজ রানা নিজেদের গোয়েন্দার তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারেন, চোরাকারবারীরা জীবননগর-চুয়াডাঙ্গা সড়ক দিয়ে স্বর্ণ পাচারের উদ্দেশ্যে সীমান্তের দিকে যাবে। এ তথ্যের ভিত্তিতে অধিনায়কের নেতৃত্বে এবং উপঅধিনায়ক মেজর মোঃ রকিবুল ইসলামের সহযোগিতায় ব্যাটালিয়ন সদরের একটি বিশেষ টহলদল বৃহস্পতিবার বিকেলে কালীগঞ্জ-চুয়াডাঙ্গা সড়কে অবস্থান নেন।
আনুমানিক বিকেল ৬টায় সাদা রংয়ের একটি প্রাইভেটকার হাসাদাহ বাসস্ট্যান্ডে স্পিডব্রেকার পার হওয়ার সময় বিজিবির টহল দল গাড়িটির গতিরোধ করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেন। পরে প্রাইভেটকারে থাকা এবাদুল মোল্লা, মাহাবুর হাসান, রিয়াজ কাজী এবং শেখ সোহেল রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানান গাড়ির দ্বিতীয় আসনধারীর সিটের নিচে ১৪টি স্বর্ণের বার রয়েছে। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক সিটের নিচ থেকে স্বর্ণের ৬টি মিডিয়াম ফ্লাটবার এবং ৮টি বার উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ৬টি মোবাইল জব্দ করা হয়। ১৪টি স্বর্ণের বারের মোট ওজন ২ কেজি ২৪৫ গ্রাম।
বিজিবি আরো জানায়, আটক স্বর্ণের বারসহ প্রাইভেটকার এবং মোবাইলের মূল্য ২ কোটি ২৪ লাখ ৭৫ হাজার ৭৫১ টাকা। আটক আসামীদের স্বর্ণের বার শুল্ক কর ফাঁকি দিয়ে ভারতে পাচারের জন্য বহন করা ও নিজ জিম্মায় রাখার অপরাধে তাদেরকে জীবননগর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া ১৪টি স্বর্ণের বার চুয়াডাংগা ট্রেজারিতে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।