জীবননগরে ঘুর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় দিনমজুর পরিবারের পাশে দাড়ালেন সেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়ুথ এ্যাসেম্বলীর সদস্যরা ।স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,ঘুর্ণিঝড় আম্ফানের কারনে জীবননগর উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়নের বৈদ্যনাথপুর গ্রামের হতদরিদ্র দিনমজুর আতাহার হোসেন (৩৮) পেশায় একজন কৃষক সংসারে আয়ের উৎস বলতে একমাত্র কৃষক আতাহার।পরিবারে সদস্য ৬জন জমি জায়গা বলতে ২শতক ভিটা ছাড়া আর কিছুই নেই। মাথাগোজার ঠাই ছিল টিনের বেড়া আর টিনের ছাউনী দিয়ে তৈরি ঘর।
সেখানে পরিবারের সকলকে নিয়ে সুন্দর ভাবে জীবন-যাপন করছিলেন।কিন্তু ঘুর্ণিঝড় আম্ফানের কারনে অসহায় কৃষকের গোটা পরিবার ধ্বংশ করে দিয়ে যায়। রাতের আধারে ঘরের ভিতরে ঘুমন্ত অবস্থায় ঘরের উপর গাছ পড়ে এবং গাছের নিচে চাপা পড়ে মৃত্য হয় ছোট ছেলে জুবায়ের হোসেনের (১৩) ।সন্তানকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে মা-বাবা।ছেলের শোকে নিজেদের মাথাগোজার মত একটি ঘর ভেঙ্গে লন্ড ভন্ড হয়ে পড়ে আছে তেমন অর্থ না থাকায় ঘরটা মেরামত করতে পারছে না ।
এ নিয়ে বেশ কয়েকবার স্থানীয় নেতাকর্মিদের কাছেও গিয়েছে কিন্তু কোন ফল হয়নি ।এই বৃষ্ঠির মধ্যে পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে পাশের একটি বাড়িতে কোন রকম রাত যাপন করছে ।এমন সংবাদ শুনে গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার সময় জীবননগর সেচ্ছাসেবী সংগটণ ইয়ুথ এ্যাসেম্বলি এর সদস্যরা ওই অসহায় পরিবারের বাড়িতে যান এবং তার ঘর তৈরি করে দেওয়ার জন্য আশ^াস প্রদান করেন ।কৃষক আতাহার বলেন,আমার ঘর পড়েছে অনেক দিন হলো আমার ছেলে মারা যাওয়ার সময় ইউএনও সাহেব ও উপজেলা চেয়ারম্যান ১০হাজার টাকা দিয়ে যায় এবং একটি ঘর তৈরি করে দেওয়ার কথা বলে কিন্তু এখনও পর্যন্ত ঘরটা তৈরি করে দেয়নি ।যদি সরকারি ভাবে আমার ঘরটি তৈরি করে দিত তা হলে আমার অনেক উপকার হত ।
ইয়ুথ এ্যাসেম্বলি এর জীবননগর উপজেলা শাখার আহবায়ক মিঠুন মাহমুদ বলেন,আমরা শুনতে পাই বৈদ্যনাথপুর গ্রামের কৃষক আতাহার অর্থের অভাবে ঘর তৈরি করতে পারছে না ।এমন সংবাদের ভিক্তিত্বে আমরা সকলে ওই কৃষকের বাড়িতে যায় ।সেখানে দেখি আসলেই তারা মানবতার জীবন-যাপন করছে ।আসলে আমরা সমাজে যে সমস্থ বিত্তবান ব্যাক্তি আছে তাদের সহযোগিতা নিয়ে আমরা ওই কৃষককে একটি ঘর তৈরি করে দিব ।
জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী হাফিজুর রহমান বলেন,ঘুর্ণিঝড় আম্ফানের কারনে বৈদ্যনাথপুর গ্রামের কৃষক আতাহারের ছেলেটি গাছ চাপা পড়ে মারা যায় এবং তার ঘরটি নষ্ঠ হয়ে যায়।আমরা সেখানে যেয়ে ১০হাজার টাকা দিয়ে এসেছি এবং তার ঘরটা যাতে পাই সে জন্য যা করার আমরা উপজেলা পরিষদেরপক্ষ থেকে করবো ।