চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগরে ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ইরাক সহ বিভিন্ন দেশে পাঠানোর নাম করে ভুয়া ভিসা দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে মাসুদ রানার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মাসুদ রানা জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের সেনেরহুদা গ্রামের মমিন উদ্দিনের ছেলে।
ভুক্ত ভোগীদের পরিবার সুত্রে জানা গেছে, গত ১৮-১-১৯ইং তারিখে জীবননগর পৌর শহরের হাইস্কুল পাড়ার আজাদ হোসেনের ছেলে আকমল সাঈদকে ইরাকে ভালো কাজ দেওয়ার নাম করে তার নিকট থেকে ৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয় হয়। পরবর্তীতে তাকে ইরাকে পাঠানো হলেও ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত্রে কাগজপত্রে ত্রুটি থাকায় তাকে দুই মাস কোন কাজ কর্ম না দিয়ে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রাখা হয়।
গত ১৮ ই আগস্ট ভুয়া কাগজপত্রে অবৈধ ভাবে ইরাকে প্রবেশ করায় ইরাকের পুলিশ তাকে আটক করে । সেই থেকে এ পর্যন্ত আটক আছে ওই যুবক।
এ দিকে আকমল সাঈদের বাবা আজাদ হোসেন বাদি হয়ে মাসুদ রানার বিরুদ্ধে গত ৫ সেপ্টম্বর জীবননগর থানায় একটি মামলা দায়ের করে, যার মামলা নং-৪। এ দিকে একই অভিযোগ করেন উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের বকুলের ছেলে সোহেল ও আরিফ।
তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, মাসুদ রানা ও তার বাবা মমিন উদ্দিন এবং স্থানীয় এক ভূয়া সাংবাদিক ক্রাইম রিপোর্টার পরিচয় দানকারীর মাধ্যমে এলাকার বেশ কিছু বেকার যুবকদের বিদেশে ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজে আলীসান বাড়ি আর আলীসান জীবন-যাপন করলেও ,মানবতা ও হতাশার মধ্যে জীবন-যাপন করছেন বেকার যুবকরা।
এমন কি নিশ্ব¦ হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী অসহায় পরিবারের সদস্যরা। এ বিষয়ে মাসুদ রানা বলেন, আমি বিদেশে পাঠানোর নাম করে যে টাকা নিয়েছি তা ঠিক, তাদের তো ইরাকে পাঠিয়েছি তবে সাময়িক সমস্যা হয়েছে তা সমাধান করেছি। উথলী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম বলেন, মাসুদ রানার বিরুদ্ধে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাৎ এর একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
কিন্তু বিচারের দিন এলেই সে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গনি মিয়া বলেন মাসুদ রানার বিরুদ্ধে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার নামে টাকা নেওয়ার একটা মামলা হয়েছে। তবে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জীবননগর প্রতিনিধি: