জীবননগরে হাফিজা খাতুন (৩০) নামের এক নার্সকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পৌর এলাকার মা নার্সিং হোম ক্লিনিকের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
হাফিজা খাতুন ওই ক্লিনিকের নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত এটা এখনো জানা যায়নি।
ক্লিনিকের এক সহকর্মী জানান, রাতে ক্লিনিকের দ্বিতীয়তলায় হাফিজার সাথে আলাপচারিতা শেষে তৃতীয় তলায় যান। পরবর্তীতে কিছুক্ষন পর দ্বিতীয়তলায় এসে হাফিজাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেন তিনি। কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে জানা নেই। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় রক্তাক্ত অবস্থায় হাফিজা খাতুনকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
তিনি আরও বলেন, সকালে নিহতের স্বামী এই ক্লিনিকে এসেছিলেন। হাফিজার সঙ্গে কোন কারণে বাকবিতণ্ডতা হয়। এরপরই সেখান থেকে তিনি চলে যান।
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রাগবির হাসান বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ (পিপিএম-সেবা) ও চুয়াডাঙ্গা সার্কেল এসপি জাকিয়া সুলতানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।