জীবননগরে স্কুল ছাত্র মাহফুজ হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে । গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার সময় জীবননগরবাসী ও স্কুলের ছাত্র সমাজের আয়োজনে জীবননগর শহরের মেইন বাসষ্ট্রান্ড চক্তরে কিশোর মাহফুজ হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নিহত মাহফুজ জীবননগর পৌর সভার ৪নং ওর্য়াড নারায়নপুর গ্রামে বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলামের ছেলে । সে জীবননগর থানা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ শেন্রীর ছাত্র। স্কুল ছাত্র মাহফুজকে নির্মম ভাবে পিটিয়ে হত্যার বিষয়টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়লে এটি মুহুর্তের মধ্যে সোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে । মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে এ ভাবে নির্যাতন করে মাহফুজকে হত্যা করায় জীবননগরবাসী দোষীদের শাস্তির দাবি করে নারী,পুরুষ একত্রিত হয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন।
জীবননগর পৌর সভার সাবেক কাউন্সিলার সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন ,জীবননগর ডিগ্রী কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম,জীবননগর পৌর সভার সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম,জীবননগর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েসা সুলতানা লাকী,জীবননগর পৌর আওয়ামলীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন,জীবননগর পৌর যুবলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম ছোট বাবু,সাবেক কাউন্সিলার মশিয়ার রহমান প্রমুখ এ সময় বক্তরা বলেন,স্কুল ছাত্র মাহফুজকে যারা পিটিয়ে হত্যা করেছে তাদের দৃষ্ঠান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে এবং হত্যাকারিদের ফাসি দিতে হবে তা না হলে কঠোর আন্দোলন করা হবে।
সম্প্রতি যশোর শহরের রেলরোড এলাকায় যশোর মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুর্নবাসন কেন্দ্রে জীবননগরের মাহফুজকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। সেখানে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাহফুজকে বেধড়ক ভাবে মারধর করে ।এক পর্যায় ৮-১০জন মিলে তার নাকের ভিতরে পানি ঢুকিয়ে গুরুত্বর আহত করে। সকলে মিলে পিটাতে থাকে একপর্যায় মাহফুজের মৃত্যু হলে তাকে চিকিৎসার নামে যশোর সদর হাসপাতালের বারান্দায় রেখে তারা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় যশোর কতোয়ালী থানায় মাহফুজের বাবা বাদি হয়ে মামলা করলে পুলিশ ওই দিন রাতে মাদক নিরাময় কেন্দ্রের মালিকসহ ১৪জনকে আটক করে।এদিকে আটককৃত আসামীরা যাতে মুক্তি না পাই এবং আর কোন মা-বাবার বুক খালি না হয় তার সুষ্ঠ বিচারের দাবি করেছেন মাহফুজের বাবা-মাসহ পরিবারের লোকজন।