জীবননগর উপজেলার হাসাদাহ ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে শত্রুতা মূলক ভাবে এক অসহায় ব্যক্তির বসত বাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
জানাযায় , হাসাদাহ ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের মৃত রব্বানী মন্ডলের ছেলে মুক্তার আলী একই গ্রামে বসবাসকারী মৃত তৈয়ব আলীর কাছ থেকে আর .এস খতিয়ানের ৬৪৪ নং দাগে ৯ শতক এবং ১৪৮৪ দাগে ২ শতক মোট ১১ শতক জমি ক্রয় করেন ।
ক্রয় সূত্রে মুক্তার আলী তৈয়ব আলীর কাছ থেকে ১১/৮/১৯৮৪ সালে রিজিষ্ট্রি করেন যার দলিল নং ৮৩৮ রিজিষ্ট্রির পর থেকে জমিটি মুক্তার আলীর দখলেই ছিল। সম্প্রতি তৈয়ব আলীর ছেলেরা এসে ঐ জমির ফের মালিকানা দাবি করলে সমস্যা সৃষ্টি হয় ।
বিষয়টি নিয়ে মুক্তার আলীর ছেলে নুর-মুহাম্মদের সাথে কথা বললে তিনি বলেন যে, আজ তেকে ২৫ বছর আগে আমার পিতা মুক্তার আলী আমাদের গ্রামের তৈয়ব আলীর কাছ ১১ শতক জমি ক্রয় করেন । সেই থেকে জমিটি আমাদের দখলেই আছে কিন্তু জমিটি সেই সময় খারিজ না করাই সম্প্রতি সময়ে গত বছর খারিজ করতে গেলে তৈয়ব আলীর ছেলে দুদু , সবুজ এবং সুজন আমাদের সাথে ঝামেলা সৃষ্টি করেন এবং জমিটি তার জোর পূর্বক দখল করে নিতে চান ।
বর্তমানে সেই জমিতে আমাদের বসতবাড়ী কিন্তুু হঠাৎ একদিন তৈয়ব আলীর ছেলে দুদু , সুজন, এবং সবুজ আমাদের বসবাড়ীতে আগুন ধরিয়ে দেন এ সময় আমরা বাধা সৃষ্টি করলে দুদু, সুজন এবং সবুজ আমাকে এবং আমার বৃদ্ধ পিতা মুক্তার আলী সহ আমার ছেলে আশান এবং হাচানকে মেরে রক্তাক্ত করেন। এ সময় পাড়া প্রতিবেশিরা এসে আমাদের কে উদ্ধার করে জীবননগর সাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে জান ।
পরে কোন উপায় না পেয়ে আমাদের জীবনের ঝুকি থাকাই জীবননগর থানাই উপরোক্ত দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটা লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্তদের সাথে কথা বললে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন । বর্তমানে এই পরিস্থিতি ঐ গ্রামের সকলেই আতংকের মধ্যেই আছে, না জানি কখোন কার কি হয় ।