ঝালকাঠিতে ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) বোমা হামলায় নিহত সিনিয়র সহকারী জজ শহীদ সোহেল আহম্মেদ ও জগন্নাথ পাঁড়েকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করলো মেহেরপুরের বিচার বিভাগ।
আজ মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৩ টায় মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নবনির্মিত সম্মেলন কক্ষে বিচার বিভাগ মেহেরপুরে কর্মরত বিচারকবৃন্দ, মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং আদালতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে নিহত ২ বিচারকের স্মরণে শোকসভা, নীরবতা পালন ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এর আগে আদালত প্রাঙ্গণে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত নিহত দুই বিচারকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ শহিদুল্লাহ্ জানান, নিহত বিচারকদের স্মৃতি অম্লান রাখার জন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত ভবন মিলনায়তনের নাম ‘জগন্নাথ-সোহেল স্মৃতি মিলনায়তন’ রাখা হয়েছে।
এসময় তিনি আরো বলেন, ‘মামলাটি বিচারকালে ৪৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় এবং এজারভুক্ত সকল আসামীকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করা হয়। বিচারক হত্যা মামলার মামলার পিপি মোঃ হায়দার হোসেনকেও পরবর্তীতে জেএমবি’র সদস্যরা হত্যা করে। যার প্রেক্ষিতে আরেকটি মামলা দায়ের হলে সেই মামলাতেও ৫ জন আসামীকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করা হয়।’
আলোচনা সভায় মেহেরপুর জেলা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ শহিদুল্লাহ্’র সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রিপতি কুমার বিশ্বাস, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবু বকর সিদ্দিক, যুগ্নু জেলা ও দায়রা জজ-১ম শাহিনুর রহমা, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-২য় এইচ এম কবির হোসেন, সিনিয়র সহকারী জজ মেহেদী হাসান মোবারক মুনিম ও মোঃ নাহিদ হোসেন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন নাহার, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আল-আমীন জয় ও মোঃ জাহিদুর রহমান, মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খ.ম. ইমতিয়াজ বিন হারুন জুয়েলসহ মেহেরপুর জেলা জজ আদালত ও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীগণ।