ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) ডিগ্রি প্রদানসহ ৭দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ শিক্ষার্থীরা।
রোববার সকাল ৮টা থেকে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। এই অবস্থায় ভোগান্তি নিয়ে পায়ে হেটে যাত্রীরা যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে ।
শিক্ষার্থীদের দাবী আদায় সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সজিবুল হাসান জানান, ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে ডিভিএম ডিগ্রি দেওয়ার কথা থাকলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ বিএসসি ভেট সাইন্স এন্ড এএইচএস ডিগ্রি প্রদান করার চেষ্টা করছে। তাতে শিক্ষার্থীদের আগামীতে চাকুরির ক্ষেত্রে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তাই তারা ডিভিএম ডিগ্রির দাবি জানিয়েছেন।
এর আগে মানববন্ধন, সড়ক অবরোধ, খুলনা প্রাণী সম্পদের বিভাগের কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করার পরও তাদের এই দাবী মানা হয়নি। যে কারনে আবারো তারা নতুন করে সড়ক অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছে।
ছাত্র নেতারা আরো জানান প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয় কলেজটিকে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকট সম্পুর্ণভাবে ন্যাস্ত করলে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে । কিন্তু তারা দীর্ঘ দিন এই দাবীতে আন্দলোন সংগ্রাম করে চললেও সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তপক্ষ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এছাড়া তারা ভর্তি পরীক্ষা নিজ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত, অতিরিক্ত ভর্তিফি কমানো , শিক্ষক সংকটের সমাধান, পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্ধ ও আধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহসহ ৭ দফা দাবি তুলে ধরেণ।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহম্মদ সোহেল রানা জানান সকাল থেকে রাস্তা অবরোধ থাকায় তিনি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম শাহীন এর সাথে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে শিক্ষার্থীরা দাবী করেন জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থলে এসে তাদের দাবী আদায়ে কার্যকর আশ্বাস না দেয়া পর্যন্ত তারা সড়ক অবরোধ চালিয়ে যাবে। এই অবস্থায় তারা শিক্ষার্থীদের অবরোধ থেকে নিবৃত করাতে পারেননি।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ ভেটেরিনারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. আতাউর রহমান ভুইয়া জানান এই কলেজটি প্রথমে চট্রগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এ্যনিম্যাল সাইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাভুক্ত ছিল পরে এটি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বর্তমানে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় রয়েছে। তিনি আরো বলেন কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে বিশ্ববিদ্যালয়। অন্যদিকে এর বাজেট, অধ্যক্ষ, শিক্ষকগণ রয়েছেন প্রাণি সম্পদ মন্ত্রানালয়ের আওতায়। ফলে দুই মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়হীনতার কারনে শিক্ষার্থীদের দাবী বাস্তবায়ন হচ্ছেনা।
জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম জানান বিষয়টি জেলা প্রশাসনের আওতাভুক্ত নয় । সে কারনে তিনি শিক্ষার্থীদের কোন আশ্বাস দিতে অপারগ বিধায় তিনি বিষয়টি প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ে মৌখিক ভাবে অবহিত করেছেন।