কুষ্টিয়া-খুলনার গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের পাশ ঘেঁষেই ঝিনাইদহের শৈলকুপার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাশে দীর্ঘদিন ধরে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। এতে দুর্গন্ধের এলাকায় পরিণত হয়েছে শেখপাড়া দুঃখী মাহমুদ কলেজ ও আশপাশ জুড়ে।
গরু, ব্রয়লার মুরগিসহ বিভিন্ন পশুর রক্ত, আবর্জনার স্তূপ ও দুর্গন্ধের কারণে রাস্তার পাশে দিয়ে শেখপাড়া দুঃখী মাহমুদ কলেজে শিক্ষার্থীদের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে।
প্রতিনিয়ত ময়লা-আবর্জনা ফেলে পরিবেশ দূষণ করে আসছে উপজেলার শেখপাড়া ও মদনডাঙ্গা বাজারের পরিচ্ছন্নকর্মীরা। উভয় বাজারে নিজস্ব ডাম্পিং বা রিসাইকেল ব্যবস্থায় উচ্ছিষ্ট ফেলার জায়গা না থাকার ফলে এলাকার ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয় মহাসড়কের দুই পাশে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পূর্বদিকে শেখপাড়া বাজার। পশ্চিমে দুঃখী মাহমুদ কলেজ, মদনডাঙ্গা। উত্তর ও দক্ষিণে মাঠ। এর মাঝখানেই অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ মহাসড়ক।
দুই বাজারের বিভিন্ন দোকানের, হোটেল-রেস্তোরাঁ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য ফেলায় এ সড়কের পার্শ্ববর্তী কলেজে শিক্ষাদান সময়ে ক্লাসরুমগুলোতে ব্যাপকভাবে ময়লা-আবর্জনার গন্ধ যায়।
শুধু সড়কটির সংলগ্ন ক্লাসরুমগুলোতে নয়, খোদ প্রধান অধ্যক্ষ, টিচার্স রুমে এই ময়লার বাঁজে গন্ধ প্রবেশ করে। ফলে ক্লাস টাইমে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ কলেজের সকলের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এই বিষয়ে কলেজটির অধ্যক্ষ আসাদুর রহমান শাহিন বলেন, উপজেলার শ্রেষ্ঠ এই বিদ্যাপিঠের পাশে শেখপাড়া ও মদনডাঙ্গা এলাকার বিভিন্ন বর্জ্য ফেলা হয় ও গরু, ছাগল জবেহ করা হয়।
ক্লাস চলাকালে সমস্যাটি শিক্ষার্থীদের মানসিক ভোগান্তির কারন এবং দুষিত হচ্ছে পরিবেশ। আমাদের টিচার্স রুমে পর্যন্ত এই ময়লা-আবর্জনার বাজে গন্ধ প্রবেশ করে।
আমরা বার বার উপর মহলে জানিয়েও কোন সুফল পায়নি।ময়লাগুলো যদি কলেজ থেকে আরও কিছুটা দূরে ফেলতো তাহলে ময়লা আবর্জনার বর্জ্যময় গন্ধ থেকে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী কিছুটা মানসিক ভোগান্তিমুক্ত হতো এবং পরিবেশ দূষণ রক্ষা করা যেত। তিনি আরো বলেন, আমি সাংবাদিক ও প্রশাসনের এই বিষয়ে সুদৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানায় ।