ঝিনাইদহের জমি আছে ঘর নাই এই প্রকল্পের আওতায় বাড়ি পেতে যাচ্ছেন হলিধানী ইউনিয়নে ফ্লাট বাড়ি ও মাঠে ৩বিঘার জমির মালিক হাবিবুর রহমানের পরিবার।
কোন প্রকল্পের, কার আবেদনে, কার সুপারিশে এই ঘর পাচ্ছেন তা জানে না এলাকার প্রতিনিধিসহ এলাকাসী।
সদর উপজেলার ৪নং হলিধানী ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের ইছাহাক আলীর বড় ছেলে হাবিবুর রহমান। তার পিতার রয়েছে চার রুমের ফ্লাট বাড়ি। তার পরেও দুর্যোগপূর্ণ আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর পেতে যাচ্ছেন তিনি। এবিষয়ে জনমনে ব্যাপক কৌতুহল সৃষ্ঠি হয়েছে।
ঘটনার সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, ইছাহাক আলীর ছেলে হাবিবুর চারবছর আগে বিবাহ করে কুমড়াবাড়ীয়া ইউনিয়নে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করে আসছে। ঘর পাবার কথা শুনে পনেরদিন আগে শালিয়া মৌজার ১০৬৬ নাম্বার দাগের বারশতক জমির উপর একচালা টুকরি ঘর নির্মান করেছে। যেখানে কাওকে বসবাস করতে দেখা যায়নি।
এবিষয়ে একই গ্রামের রবিউল ইসলাম (রবি) জানান, ইছাহাক আলীর একটি ফ্লাটবাড়িসহ প্রায় তিন বিঘা জমি আছে এবং সে পারিবারিক ভাবে স্বচ্ছল। তার এই ঘর পাবার কথা শুনে আমরা হতভম্ব হয়ে গেছি।
গ্রামে অনেক দুস্থ ও অসহায় পরিবার আছে। তাদেরও ঘরের তালিকা পাঠানো হয়েছে উপজেলা ইউএনও অফিসে, সেই তালিকা থেকেও কোন দুস্থ ও গরীবের নাম আসেনি। সে কিভাবে ঘর পেলো আমরা বলতে পারবো না। শুধু এতটুকু বলতে পারি তাদের মত স্বচ্ছল পরিবারের ঘর পাওয়া কাম্য নয়।
হাবিবুরের পিতা ইছাহাক আলী জানান, তার ছেলে দীর্ঘদিন যাবৎ শশুরবাড়িতে থাকতো। সেখান থেকেই তার শশুরের মাধ্যমে উপজেলা অফিসে যোগাযোগ করে এই বাড়ির অনুমোদন পেয়েছে।
এবিষয়ে হাবিবুর জানান, আমি শশুরের সাথে গভীর নলকুপ স্থাপনের কাজ করি। আমার শশুর ঝিনাইদহ সদর উপজেলা অফিসের অফিসারদের সাথে যোগাযোগ করে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে এই ঘরের অনুমোদন করিয়ে দেয়।
হলিধানী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জানান, এই ঘর কোথা থেকে কিভাবে পেলো আমি এর কিছুই জানি না। আমরা ইউনিয়নের যে গরীব ও দুস্থদের ঘরের তালিকা দিয়েছি সেই তালিকাতেও তার কোন নাম নেয়।
এবিষয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, আমি যোগদানের পর থেকে কোন প্রকল্পের ঘরের কাজ এখনো শুরু হয়নি। এই ঘরটি কিভাবে অনুমোদন পেয়েছে আমি বিষয়টি দেখছি।
মেপ্র/ইএম