ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কামান্না গ্রামে ২৭ শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ৪৯তম শাহাদাৎ দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের এ দিনে পাক বাহিনী ও রাজাকাররা ২৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ২৯ জনকে হত্যা করে। কামান্না গ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পের টিনের ঘর দুটি অবিকল সে অবস্থাতে সে দিনের স্মৃতি বহন করছে।
শহীদ মুক্তিযোদ্ধাগন হচ্ছেন, মোমিন, কাদের, শহিদুল, সোলেমান, রাজ্জাক (১), ওয়াহেদ, রিয়াত, আলমগীর, মতলেব, আলি হোসন, শরিফুল, আনিছুর, আলিমুজ্জামান, তাজুল, মনিরুজ্জামান, মাছিম, রাজ্জাক (২), কাওছার, সালেক, আজিজ, আকবর, সেলিম, হোসেন, রাশেদ, গোলজার, অধীর ও গৌর। এ সাথে শহীদ হন তাঁদের গাইড ফণি ভুষণ কুন্ডু ও রান্নার বুয়া রঙ্গবিবি।
অবস্থানগত দিক দিয়ে সুবিধাজনক হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধাগন কামান্না গ্রামের মাধব ভুঁইয়ার বাড়িতে অস্থায়ী ক্যাম্প গড়ে তোলেন। ২৫ নভেম্বর রাতে খাবার খেয়ে মুক্তিযোদ্ধাগন ঘুমিয়ে পড়েন। ভোর রাতে বাড়িটির ঘিবে ফেলে পাকসেনা ও রাজাকাররা। তাদের গুলিতে একে একে শহীদ হন ২৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
দিবসটি পালন উপলক্ষে শৈলকুপা উপজেলা প্রশাসন ও ২৭ শহীদ স্মৃতি সংঘ শহীদদের মাজার প্রাঙ্গনে আলোাচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে। প্রথমে পুষ্প স্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মুক্তিযোদ্ধাগন। ঝিনাইদহের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোঃ সেলিম রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রতিছিলেন ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাই।্ বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ফ ম আবুল ফাত্তাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান ও রহমত আলি মন্টু। বক্তরা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তাঁদের আত্বত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। জাতি আজ শ্রদ্ধার সাথে শহীদদের স্মরণ করে। পরে শহীদদের আত্বার শান্তি কামনা করে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।