ঝিনাইদহে জমি বিক্রয়ের পাওনা টাকা উদ্ধারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মহেশপুর উপজেলার পূর্বপুরন্দপুর গ্রামের জিয়া উদ্দীন খানের পুত্র কে.এম সালাহ উদ্দীন। মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, তার শাশুড়ি শাহানুর নেছাসহ কালিগঞ্জ উপজেলার দাদপুর মৌজার ২৪০ আর এস খতিয়ানভূক্ত ২১১ শতক জমি পঁচিশ লক্ষ সাতান্ন হাজার পাঁচ শত পচাত্তর টাকায় বিক্রি করেন একই গ্রামের আফসার আলীর ছেলে মজনুর রহমান, মহর শেখের ছেলে জহির শেখ এবং যশোরের চৌগাছা উপজেলার সরূপপুর গ্রামের নূর আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাকের কাছে। জমি রেজিস্ট্রি করার সময় ক্রেতারা তাদের নগদ ১৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। বাকি টাকা ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকার জন্য চেক প্রদাণ করেন। চেক নং ৬৯০৬১২৬, হিসাব নং-১২২৮৪ ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ কোটচাঁদপুর শাখা-ঝিনাইদহ।
এদিকে জমি রেজিষ্ট্রি হওয়ার পর চেক ফেরৎ নিয়ে টাকা না দিতে নানা ফন্দি আটে প্রতারক মজনু। গত ৫ অক্টোবর চেক ফেরত দিয়ে টাকা নেওয়ার জন্য সালাহ উদ্দিনকে বাড়িতে ডাকে মজনু। সেখানে টাকা না দিয়ে চেক ছিনিয়ে নিয়ে ছিড়ে ফেলে মজনু ও তার ছেলে পুলিশ সদস্য মিজান। ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকার স্থলে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেয়। বাকি টাকার জন্য চেক চাইলে সালাহ উদ্দিন ও তার সাথে যাওয়া তার পরিবারের লোকজনকে হত্যার হুমকি দেয়। বিষয়টি নিয়ে বিচার চাইতে সালাহউদ্দিন কালীগঞ্জ থানায় অভিযোগ করে। অভিযোগ করার পর থেকে মিজান ও তার লোকজন মোবাইলে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেওয়া শুরু করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের পাওনা টাকা উদ্ধারের জন্য পুলিশ সুপারের কাছে গিয়েছি। কিন্তু পাওনা টাকা উদ্ধারের কোন ব্যবস্থা হয়নি। তিনি পাওনা টাকা উদ্ধার এবং শিশু সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা দাবী করে জেলা প্রশাসকসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ভূক্তভোগী শাহানুর নেছা এবং ইদ্রিস আলী, মেহেনুর নেছা, সুমাইয়া ইসলা, তমা খাতুন প্রমূখ। এ বিষয়ে মজনুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।