আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস দসেন্ট ভ্যালেন্টাইনস ডে। তবে তরুণ-তরুণী শুধু নয়, নানা বয়সের মানুষের ভালোবাসার বহুমাত্রিক রূপ প্রকাশের আনুষ্ঠানিক দিন আজ।
এ ভালোবাসা যেমন মা-বাবার প্রতি সন্তানের, তেমনি মানুষে-মানুষে ভালোবাসাবাসির দিনও এটি। কিন্তু শুধু একটি দিন ভালোবাসার জন্য কেন? এ প্রশ্নে কবি নির্মলেন্দ গুণের ছোট জবাব, ভালোবাসা একটি বিশেষ ৭ দিনের জন্য নয়।
সারাবছর, সারাদিন ভালোবাসার। তবে আজকের এ দিনটি ভালোবাসা দিবস হিসেবে বেছে নিয়েছে মানুষ। তারুণ্যের অনাবিল আনন্দ আর বিশুদ্ধ উচ্ছ্বাসে সারা দেশের মতো আমাদের জেলার তরুণ-তরুণীদের মাঝেও ভালোবাসা দিবস পালিত হচ্ছে।
ভালোবাসার উৎসবে মুখর আজ ঝিনাইদহ শহর। শহরের প্রাণকেন্দ্রে ছোট ছোট ইন্সটল করে ফুল বিক্রয় চলছে সারা দিন। দেবদারু এভিনিউতে চলছে ভ্যালেন্টাইন্স ডে উপলক্ষে কনসার্ট, শহরের মধ্যে তরুন-তরুনীর ঘুরাঘুরি, এ উৎসবের ছোঁয়া লাগবে গ্রাম-বাংলার জনজীবনেও। মু
ঠোফোনের মেসেজ, ই-মেইল অথবা অনলাইনের চ্যাটিংয়ে পুঞ্জ পুঞ্জ প্রেমকথার কিশলয় হয়ে উঠবে পল্লবিত। অনেকের মতে, ফেব্রুয়ারির এ সময়ে পাখিরা তাদের জুটি খুঁজে বাসা বাঁধে। নিরাভরণ বৃক্ষে কচি কিশলয় জেগে ওঠে। তীব্র সৌরভ ছড়িয়ে ফুল সৌন্দর্যবিভায়। পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হয়।
এ দিনে চকোলেট, পারফিউম, গ্রিটিংস কার্ড, ই-মেইল, মুঠোফোনের এসএমএস-এমএমএসে প্রেমবার্তা, হীরার আংটি, প্রিয় পোশাক, জড়াজড়ি করা খেলনা মার্জার অথবা বই ইত্যাদি শৌখিন উপঢৌকন প্রিয়জনকে উপহার দেয়া হয়। নীল খামে হালকা লিপস্টিকের দাগ, একটা গোলাপ ফুল, চকোলেট, ক্যান্ডি, ছোট্ট চিরকুট আর তাতে দুছত্র গদ্য অথবা পদ্য হয়ে উঠতে পারে উপহারের অনুষঙ্গ।
অন্যদিকে আজকের এ ভালোবাসা শুধুই প্রেমিক আর প্রেমিকার জন্য নয়। মা-বাবা, স্বামী-স্ত্রী, ভাইবোন, প্রিয় সন্তান এমনকি বন্ধুর জন্যও ভালোবাসার জয়গানে আপ্লুত হতে পারে সবাই। চলবে উপহার দেয়া-নেয়া। এইভাবে নিজের ভালোবাসাকে প্রিয় মানুষের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া।