পুলিশকে ফাঁসাতে অসুস্থতার ভাণধরে হাসপাতালে ভর্তি হলেন আবদুল জোয়ারর্দার নামের এক আসামি। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নের দোগাছি গ্রামে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নারিকেলবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই বদিউর রহমানকে ফাঁসাতে এমন নাটক সাজানো হয়। সে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বেড়পাড়া গ্রামের মৃত খেলাফৎ জোয়ারদারের ছেলে।
পুলিশ জানায়, ২০১৯ সালের গ্রাম্য মারামারি মামলার আসামি ছিলেন আবদুল। আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। সে মোতাবেক দোগাছি এলাকা থেকে সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে সন্ধ্যায় আসামিকে নিয়ে সদর থানায় আসার পথে আব্দুল অসুস্থতাবোধ করলে তাকে সাথে সাথে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুযোগ সন্ধানী আবদুল পুলিশকে ফাঁসাতে অসুস্থতার নাটক সাজায়।
নারিকেলবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই বদিউর রহমান বলেন, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আবদুলকে গ্রেফতারের পর সে আমার সাথে খারাপ আচরণ করে এবং চড়াও হয়। একপর্যায়ে পালানোর চেষ্টা করে। আমি তখন তাকে আইনানুযায়ী প্রথমে ক্যাম্পে নিয়ে আসি।
এ সময় এলাকার কতিপয় দালাল শ্রেণীর মানুষ তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য তদবির করে। তদবিরে ব্যর্থ হয়ে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতেই এই অসুস্থতার নাটক সাজানো হয়।
আসামি আবদুল মারধরের অভিযোগ এনে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় বিষয়টি চাউর করে আলোড়ন সৃষ্টির চেষ্টা করে। তিনি আরও বলেন আমি সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশপাশি এলাকার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছি।