ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার চাঞ্চল্যকর ‘সাঈদ হত্যা’ মামলার ২২ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে ঝিনাইদহ র্যাব-৬ এর একটি আভিযানিক দল।
রবিবার (২৭ নভেম্বর) ঝিনাইদহ র্যাব-৬ এর এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে, চাঞ্চল্যকর ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার সাঈদ হত্যা মামলার পলাতক আসামীরা সদর থানা এলাকায় এবং মাগুরা জেলার সদর থানা এলাকায় অবস্থান করছে।
প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের আভিযানিক দলটি রাত দেড়টার দিকে মাগুরা জেলার সদর থানাধীন বাস টার্মিনাল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যা মামলার মুলহোতা শৈলকুপা উপজেলার হানিফ মন্ডল (৪৩) ও তার সহযোগী রিয়াজ মন্ডল (২৩) কে গ্রেফতার করে এবং একই তারিখে ২টার দিকে র্যাবের পৃথক একটি অভিযানে ঝিনাইদহ জেলার সদর থানার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে একই উপজেলার আসামী রুহুল মোল্লা (৪৫), ইন্তাজ বিশ্বাস (৪০), হৃদয় বিশ্বাস(২৫), ঝন্টু বিশ্বাস(৪৮), শামীম বিশ্বাস(২৭), হাফিজ বিশ্বাস(৪০), গিয়াস বিশ্বাস(৫৫), হাসান শেখ(৪৮), সাইদুল বিশ্বাস(৫০), আমিরুল বিশ্বাস(৪৫), পলাশ বিশ্বাস(৩৫), এলাহী বিশ্বাস(৫০), আজিবার মন্ডল(৫১), রাজ্জাক মন্ডল(৪০), আনোয়ার বকস(৪২), ইমদাদ মন্ডল(৪৫), এনামুল মন্ডল(৩৮), সোহেল মন্ডল(২৮), ইদ্রিস মন্ডল(৫৫), ও সুলতান বকস((২০), কে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।
উল্লেখ যে, উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের দুই ইউপি সদস্যের আধিপত্য বিস্তাারকে কেন্দ্র করে পূর্ব থেকে বিরোধ চলে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে গত ১৪ নভেম্বর উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এর এক পর্যায়ে কফিল মেম্বারের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মান্নান মেম্বারের লোকজনের উপর হামলা চালিয়ে ‘সাইদ হোসেন’ নামের এক যুবককে এলোপাথাড়ীভাবে শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে হত্যা করে।
এ বিষয়ে গত ১৭ নভেম্বর ২০২২ তারিখে শৈলকুপা থানায় ভিকটিমের ভাই মোঃ রফিজ বিশ্বাস বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনাটি বিভিন্ন মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় এবং জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদেরকে শৈলকুপা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।