ঝিনাইদহে কঠোর লকডাউনের ৩য় দিনে চলছে ঢিলেঢালা ভাবে। সড়ক মহাসড়কে বাস বন্ধ থাকলেও ইজিবাইক, মাহেন্দ্র চলাচল করছে। গাদা-গাদি করে বহন করা হচ্ছে যাত্রী।
রোববার সকালে শৈলকুপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ বাজার, ভাটই বাজারসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে বসানো হয়েছে হাট-বাজার। চলছে কেনা-বেচা। সেখানে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য বিধি। অনেকেই মাস্ক ছাড়া চলাচল করছেন। খোলা হচ্ছে হোটেল, রেস্তোরা, চায়ের দোকান, পোশাকের দোকান।
ভাটই হাটে আসা রাসেল হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, লকডাউন দিয়েছে তো কি করব ভাই। সকালে মানুষ হাটে পেঁয়াজ আনছে। পেয়াজ আনছে তাই কিনছি। একটু ভীড় হচ্চে কিছু তো করার নেই।
চা দোকানী হাসান আলী বলেন, ভাই পেটের দায়ে দোকান খুলিছি। লকডাউন চললেও কিছু করার নেই। ছবি তুলে আমার আবার বিপদে ফেলেন না। দোকান না খুললি চলব কি করে। মাস্ক পরেন নি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, কত সময় মাস্ক পরে থাকবো। দোকান চালাচ্ছি তাই খুলে রাখছি। আবার পরবনে।
এদিকে ঝিনাইদহ জেলা শহরের পোস্ট অফিস মোড়, মুজিব চত্বর, আরাপপুর বাসস্ট্যান্ডসহ কয়েকটি স্থানে পুলিশের পক্ষ থেকে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। শহরে চলাচলকারীদের থামিয়ে কারণ জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে। বিনা কারণে বাইরে বের হলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সেলিম রেজা বলেন, লকডাউন কার্যকরে জেলা শহরসহ ৬ টি উপজেলায় নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। গত দুই দিনে জেলায় ৮৬ টি মামলায় ৪৩ হাজার ৭’শ ৫০ টাকা জরিমারা করা হয়েছে। তাছাড়া লকডাউনে জরুরী প্রয়োজনে যারা বাইরে বের হচ্ছেন তাদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।