করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত লকডাউন চলছে, সারাদেশে সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকে সাতদিনের লকডাউন শুরু হয়েছে। সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে স্থানীয় ও দুরপাল্লার সকল প্রকার গণপরিবহন। কমেছে সড়ক-মহাসড়কের মানুষের চলাচল। সকাল থেকেই বন্ধ রয়েছে দোকান-পাট। নিত্যপ্রয়োজনী পণ্য, ঔষধসহ কিছু কিছু দোকান-পাট খোলা রাখা হয়েছে। এদিকে লকডাউন কার্যকরে মাঠে নেমেছে জেলা পুলিশ বিভাগ ও জেলা প্রশাসন। শহরের আরাপপুর, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। বিনা কারণে বাইরে আসা ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দু’একটি চলা ইজিবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলাচলের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
ঝিনাইদহতে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে এবং বৈশ্বিক মহামারি করোনা প্রতিরোধে সোমবার থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহ ব্যাপি লকডাউন বাস্তবায়নে দ্বিতীয় দিনে কঠোর ভাবে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মোঃ মুনতাসিরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে জেলা পুলিশ বিভাগ মাঠে নেমেছে।
লকডাউন কালে জনসাধারণকে নিজ ঘরে নিরাপদ রাখতে মাঠে নেমেছে জেলা পুলিশ বিভাগ। প্রথমদিন সোমবার এবং দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ স্পটে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে ও বিনা প্রয়োজনে মানুষকে বাড়ির বাইরে বের না হতে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলামের নেতৃত্বে জেলা পুলিশ বিভাগ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এর বিস্তর রোধকল্পে শর্ত সাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের লক্ষে ঝিনাইদহ জেলার পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম ও অন্যান্য অফিসারবৃন্দ ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন স্থানে (মার্কেট, বাজার, বাসস্ট্যান্ড, রেস্টুরেন্ট, ফার্মেসি) মনিটর করেন। সকলকে মাস্ক পরতে উদ্ভুদ্ধ করেন,স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে আহ্বান জানান,অপ্রয়োজনীয় লোকজন ঘোরাফেরা করছে কিনা,দোকান খোলা আছে কিনা সেসব বিষয়ে মনিটর করেন।পাশাপাশি চেকপোস্টের কার্যক্রম তদারকি করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, শহরের বিভিন্ন স্থানে লকডাউন কার্যকরে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিতে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং জরুরি কাজ ছাড়া বের না হওয়ার সরকারি নির্দেশ থাকলেও তা মানচ্ছেন না সাধারণ উৎসুক জনতা। স্বাভাবিক দিনের মতোই লোকজন দিব্যি আরামে ঘুরাফেরা করছেন। তাদের অনেকের মুখেই নেই মাস্ক। সরকারের নির্দেশনা ও মাস্ক পরা নিশ্চিত করণ, স্বাস্থ্যবিধি সহ সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য জনগনকে সচেতন করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এছাড়া ভ্রাম্যমান আদাতের অভিযান চলছে। লকডাউন কার্যকর করতে জেলা পুলিশ বিভাগ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।এর পরও কেউ সরকারি নির্দেশ অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এরফানুল হক চৌধুরী বলেন, সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। ১৮ দফা নিদের্শনা না মানায় সকালে বেশ কয়েকটি খাবারের দোকানে জরিমানা করা হয়েছে। নির্দেশনা না মেনে যারা শহরে ঘোরাঘুরি করবে তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।