ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সুরাট ইউনিয়নের সামাজিক বিরোধের জেরে ঝিনাইদহ শহরে একা পেয়ে মোঃ শাকিল হোসেন (২৩) কে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা।
এ ব্যাপারে আহতের ভাই বাদি হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৭/৮ জন অজ্ঞাত নামাকে আসামী করে ঝিনাইদহ সদর থানায় এজাহার দায়ে করেছেন।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শহরের প্রিন্স হাসপাতালে পশ্চিম পার্শ্বে পাকা রাস্তার উপর এই ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে ভিকটিমের ভাই সদর উপজেলার লাউদিয়া গ্রামের আবু জাফর লস্করের ছেলে গোলাম কিবরিয়া লস্কর বাদি হয়ে সুরাট ইউনিয়নের পূর্ব কৃষ্ণপুর গ্রামের মো: আশরাফ হোসেন (৪৪), পিতা- লোকমান মন্ডল ও কল্যানপুর গ্রামের এনামূল (৩৮), পিতা-ইব্রাহিম, নাজমুল (২৮), পিতা- শহিদুল ইসলাম, আশিক (৩০), পিতা-মকলেছসহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করেণ। গোলাম কিবরিয়া লস্কর এজাহারে উল্লেখ করেন ১০ ফেব্রুয়ারী সকালে আমার আপন ভাই মোঃ শাকিল হোসেন (২৩) ও বাকের আলী (৪২) ও সাইফুল (৩২), পিতা-শহিদুল ইসলাম ঝিনাইদহ শহর হতে বাজার সওদা করে জনৈক মিলন হোসেন এর ভ্যান যোগে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা করে সকাল অনুমান সাড়ে ১১ সময় ঝিনাইদহ হামদহ প্রিন্স হাসপাতালের পশ্চিম পার্শ্বে পাকা রাস্তার উপর পৌছানো মাত্রই সামাজিক বিরোধের কারনে পূর্ব থেকে রাস্তার পার্শ্বে ওৎ পেতে থাকা উল্লেখিত আসামীগন সহ অজ্ঞাতনামা আসামী পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে হাতে দেশীয় তৈরী মারাত্নক অস্ত্র-শস্ত্র সহকারে আমার ভাই ও তার সঙ্গে থাকা বারেক আলী এবং সাইফুলকে গতিরোধ করে।
তখন অবস্থার বেগতিক দেখে আমার ভাই শাকিল ভ্যানের উপর থেকে নেমে দৌড় দিলে আসামীরা পিছন ধাওয়া করে পুলিশ লাইনপাড়স্থ জনৈক হাফিজ উকিল এর বাড়ীর সামনে পাকা রাস্তার উপর আমার ভাই শাকিলকে ধরে ফেলে ১নং আসামী আশরাফ হোসেন খুন করার হুকুম দিয়ে সে নিজে তার হাতে থাকা থাকা ধারালো রাম-দা দিয়ে খুনের উদ্দেশ্যে আমার ভাই সাকিল এর মাথা লক্ষ্য করে সজোরে কোপ মারে। মাথা নিচু করে ডান দিয়ে সরিয়ে নিলে কোপটি আমার ভাই শাকিলের বাম কাধের উপর লেগে গুরুতর জখম হয়। এভাবে সকল আসামী ধারালো চাপাতী, লাঠি ও লোহার রড দিয়ে খুনের উদ্দেশ্যে মাথার উপরে এলোপাথাড়ী কোপ মেরে কাটা রক্তাক্ত জখম করে। এভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে। তখন তার সঙ্গে থাকা, বাকের আলীম সাইফুল ও ভ্যান চালক মিলন হোসেন ঠেকাতে গেলে আসামীরা তাদেরকেও মারপিট করে জখম করে। এছাড়াও এজাহারে আরও উল্লেক করেন, আসামী এনামূল তার জখমী ভাইয়ের গলা থেকে ৮ আনা ওজনের একটি স্বর্নের চেইন ও কিছু নগদ টাকা নিয়ে নেয়। আহতদের ডাক চিৎকারে অনেকেই ছুটে এলে আসামীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আহত শাকিল কে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
এ ঘটনায় সুরাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফ হোসেন বলেন আমি এই ঘটনার কিছুই জানিনা, এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। এবিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীন উদ্দিন জানান এব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি, আমারা তদন্দ করে ব্যবস্থা নিবো।