ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নের পন্ডিত পুর গ্রামের মৃত বিনয় বিশ্বাসের ছেলে বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস আজ সোমবার ২১শে আগস্ট বেলা ১২টার দিকে ঝিনাইদহ প্রেস ইউনিটি কার্যালয়ে তার সাত মাসের শিশু সন্তান ও স্ত্রীকে ফিরে পাওয়ার দাবিতে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
ঝিনাইদহ প্রেস ইউনিটি কার্যালয় বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাসের সাথে উপস্থিত ছিল তার মালঞ্চি রানী ভাই আকাশ বিশ্বাস শ্বশুর প্রদীপ কুমার মন্ডল ও মামাতো ভাই সঞ্জিত কুমার। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিকাশ কুমার বিশ্বাস।
বিকাশ কুমার বিশ্বাস বলেন গত ৩০ শে জুলাই বিকাল পাঁচটার দিকে আমার শিশু পুত্র কে নিয়ে পন্ডিতপুর থেকে কলমনখালী গেলে পন্ডিতপুর গ্রামের অসীমের সহযোগিতায় শৈলকূপা উপজেলার কাচের খোল ইউনিয়নের ছাদেকপুর গ্রামের পার্বণ ও তার ভাই পারভেজ আমার স্ত্রী চৈতি বিশ্বাস ও সাত মাসের শিশু পুত্র কে উঠিয়ে নিয়ে চলে যায়। তাদের খুঁজে পাওয়ার জন্য ঝিনাইদাহ সদর থানায় গত ৩১শে জুলাই একটি এজাহার দায়ের করি। আজ ২২ দিন অতিবাহিত হয়ে গেল তবুও আমি জানতে পারি নাই আমার স্ত্রী পুত্র কোথায় আছে। পুলিশ প্রশাসনের নীরবতা আমাদের মনে প্রশ্নের তৈরি হয়েছে যে আমরা সংখ্যালঘু বলে কি কোন বিচার পাবো না। আমি জানিনা আমার স্ত্রী পুত্র কেমন আছে কি অবস্থায় আছে কি হয়েছে তাদের ভাগ্যে। আমরা কয়েক দফায় থানায় গিয়েছি কিন্তু থানার পুলিশ আমাদের সাথে ভালো ব্যবহার করছে না। যে অসীম এর সহযোগিতায় তুলে নিয়ে গিয়েছিল সেই অসীম এখনো গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেনি।
আমরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে এই ঘটনার বিবরণ দেশবাসী এবং প্রশাসনের উদ্ধতম কর্মকর্তাদের জানাতে চাই যাতে আমি আমার স্ত্রী সন্তানকে অবিলম্বে ফেরত পায়। সেই সাথে যে তাকে তুলে নিয়ে গেছে তার যথা উপযুক্ত বিচার চাই। একটি হিন্দু পরিবারের গৃহবধূকে একটি মুসলিম পরিবার তুলে নিয়ে যাবে তার বিচার পাবো না এ কেমন কথা। এই বলে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত বিকাশ বিশ্বাস কান্নায় বারবার চোখ মুছতে থাকেন।
এই প্রসঙ্গে ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ সোহেল রানা বলেন আমাদের এখানে অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা চৈতি বিশ্বাস ও তার শিশুসন্তানকে উদ্ধারের ব্যাপারে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশা রাখি খুব দ্রুতই চৈতি বিশ্বাসকে তার স্বামীর নিকট ফেরত দিতে পারব।
সাংবাদিক সম্মেলনে ঝিনাইদহ প্রিন্ট পত্রিকার একাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিল।