ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিজয়পুর গ্রামে এক স্বামী পরিত্যাক্তা যুবতীর সঙ্গে বিয়ের আশ্বাসে অবৈধ মেলামেশায় ওই নারী এখন ছয় মাসের গর্ভবতী। পুলিশ নারীকে উদ্ধার করে শুক্রবার রাতে ঝিনাইদহ সদর থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে স্বামী পরিত্যাক্তা ওই নারী বিজয়পুর গ্রামের মৃত আমির হোসেনের মেয়ে সামেলা খাতুনের বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। সামেলা নিজেও স্বামী পরিত্যাক্তা। অভিযোগ উঠেছে সামেলা খাতুনের সহায়তায় অপু নামে এক ইজিবাইক চালক বিয়ের আশ্বাসে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত 14 ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের দিন অজ্ঞাত আরো দুই তিন যুবকের সামনে ওই নারীকে ঘরের মধ্যে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে অপু। বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়ে। অজ্ঞাত আরও দুই তিনজন যুবকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করা না হলে অপুর সঙ্গে মেলামেশার বিষয়টি গ্রামের মাতুব্বরদের জানানো হবে বলে শামেলা খাতুন হুমকি দেয়। এভাবে অপুসহ ওই অজ্ঞাত যুবকের সঙ্গে একাধিকবার অবৈধ মেলামেশার ফলে ওই নারী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। ৬ মাস গর্ভবতী হওয়ার খবরটি বৃহস্পতিবার জানাজানি হয়ে যায়। বিজয়পুর গ্রামের মাতব্বররা বিষয়টি পোড়াহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরনকে জানান। বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরন গণমাধ্যমকর্মীদের জানান তিনি গ্রামবাসীর কাছ থেকে এ ধরনের একটি খবর পেয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ ও ধর্ষকদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই রফিকুল ইসলাম জানান, স্বামী পরিত্যাক্তা ছয় মাসের গর্ভবতী ওই নারীকে উদ্ধার করে জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের সনাক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছি। কারা কারা ওই বাড়িতে নিয়মিত যাওয়া আশা করতো তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও তিনি জানান। এ বিষয়ে সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে।