ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে নিখোঁজ হওয়ার চারদিন পর গত রবিবার (৯অক্টোবর) দুপুরে মোবাইল ফোনের সুত্র ধরে হাফিজুর রহমান (৪০) নামের এক যুবকের পলিথিনে মোড়ান গলা কাটা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ২দিনের মধ্যেই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১১অক্টোবর) দুপুরে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শৈলকুপা সার্কেল) অমিত বর্মণের নেতৃত্বে এক প্রেস ব্রিফিং এ হাফিজুর রহমানের হত্যা রহস্য এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দেশীয় যন্ত্রপাতি জব্দ করার তথ্য তুলে ধরেন। এসময় হরিণাকুণ্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলামসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রেসব্রিফিং এ অমিত বর্মণ জানান,গত৫অক্টোবর (বুধবার) থেকে হরিণাকুণ্ডু থানার রিশখালী গ্রামেরসোহরাব হোসেনের ছেলে মোঃ হাফিজুর রহমান নিখোঁজের পর তার ছোট ভাই জাফিরুল ইসলাম ৭ অক্টোবর (শুক্রবার) থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। একই দিন সন্ধ্যায় ওই গ্রামের আলমগীর নামে এক ব্যক্তিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় আনে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন শনিবার (৯অক্টোবর) একটি মোবাইল ফোন পাওয়ার পর তারই সুত্র ধরে কেষ্টপুর চরের মাঠের খালের ধার থেকে হাফিজুর রহমানের গলাকাটা পলিথিনে পেঁচানো অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও বলেন, লাশ উদ্ধারের পর সন্ধ্যায় জাহিদ নামের সন্দেহভাজন আরেক জনকে পুলিশ আটক করে।তাদের দেওয়া তথ্য মনে জানাযায়,পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই খুন সংঘটিত হয়েছে।নিখোজের দিনই আনুমানিক রাত ১১টার দিকে দেশীয় দা দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। আটককৃতদের দেওয়া তথ্য মতে গত সোমবার (১০অক্টোবর) হত্যায় ব্যবহৃত দা,কোদাল,জিআই তার,পলিথিন,ভিকটিমের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় সোমবার (১০অক্টোবর) রাতে নিহতের ছোট ভাই জাফিরুল ইসলাম কয়েকজন অজ্ঞাতসহ ১৪ জনের নামে হরিণাকুণ্ডু থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এখন পযর্šÍ এজাহার নামীয় আসামী আলমগীর হোসেন ও জাহিদ হোসেন কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এছাড়া হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী সেকেন্দার আলী এবং শাহীন জোয়ার্দ্দার কে সোমবার রাতে র্যাব আটক করে বলেও ঝিনাইদহ র্যাব-৬ মঙ্গলবার বিকালে এক প্রেসব্রিফিং এ জানান। বাকি আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে বলেও হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান।