ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি) এস এম সিরাজুল সালেহীনের বিরুদ্ধে আদালতের রায় অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কানাডা প্রবাসী মো. মহিউদ্দিন ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
গত ২২ অক্টোবর সকালে শৈলকুপার কবিরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তারপর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।
জানা যায়, কবিরপুর এলাকায় ২৯.৫ শতক জমি কেনেন মহিউদ্দীন নামের কানাডা প্রবাসী এক ব্যক্তি। জমি কেনার পর সীমানা নির্ধারণ করে ভোগ-দখল করতে থাকেন তিনি। মৌসুমি ফসল ও শাকসবজির আবাদ করেন সেখানে। পরে সেখানে ভূমি অফিস, ইউএনও অফিসসহ স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা মহিউদ্দিনের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। সেসময় ওই জমির সীমানা প্রাচীর ভেঙে দেয় তারা। উপায় না পেয়ে আদালতের দারস্থ হন তিনি। আদালত তার পক্ষে রায় দিয়ে সরকারের উপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আদেশ জারি করে। পরে সরকার পক্ষ আদালতে আপিল করলে আদালত আপিল খারিজ করে মহিউদ্দিনের পক্ষে আগের নির্দেশনা জারি রাখেন।
আদালতের সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা আদেশ থাকার পরে স্থানীয় নায়েব ও এসিল্যান্ড এস এম সিরাজুল সালেহীন ওই জমিতে এসে জোরপূর্বক সীমানা প্রাচীর ভেঙে দেয়।
মহিউদ্দীন অভিযোগ করে বলেন, কবিরপুর এলাকার চিহ্নিত কয়েকজন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ যারা ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের দালাল হিসেবে কাজ করে এবং তহশিল অফিস, ভূমি অফিস ও ইউএনও অফিসের কিছু অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে আমার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আমাকে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। সবশেষ গত ২২ অক্টোবর এসিল্যান্ড সিরাজুল ইসলাম এসে জোরপূর্বক আমার জমির সীমানা প্রাচীর ভেঙে দেয়। আমি এর ন্যায় বিচার চাই।
এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে শৈলকুপার সহকারী কমিশনার(ভূমি) এসএম সিরাজুল সালেহীনের ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিক বার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। ভুক্তভোগী ওই প্রবাসী সুনির্দিষ্ট ভাবে লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।