চাকরী স্থীকরণের দাবিতে ঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের শ্রমিক-কর্মচারীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় মিলের প্রধান ফটকে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে তারা অনিদ্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতী ঘোষণা করেন।
১৫ মে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শস্য করপোরেশনের সচিব চৌধুরী রুহুল আমিন কায়সার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে স্থায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিতের আদেশ দেন। এ সংবাদ মিল এলাকায় পৌছালে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। শ্রমিকরা জরুরী গেট মিটিং এর ডাক দিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, মোবারকগঞ্জ সুগার মিল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম রসুল, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, সহ-সম্পাদক সাইদুর রহমান পিকুসহ অন্যান্য কর্মচারীরা।
মৌসুমী থেকে স্থায়ীকরণের নিয়োগ স্থগিতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের শ্রমিক-কর্মচারীরা।
বক্তারা বলেন, মোবারকগঞ্জ সুগার গিলে গত প্রায় ১২ বছর ধরে শ্রমিক কর্মচারীরা চুক্তিভিক্তিক ও মৌসুমী হিসাবে কাজ করে আসছেন। অভিজ্ঞ এসব শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের জন্য বুধবার নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন বিকালে অদৃশ্য কারণে সেই নিয়োগ স্থগিতের আদেশ দেয় শিল্প মন্ত্রনালয়। এতে অর্ধশত শ্রমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। তবে, ঈদুল আযহার আগে এই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার না করা হলে কঠোর কর্মসূচীর হুশিয়ারি দেন বক্তারা।
মোবারকগঞ্জ সুগার মিল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম রসুল জানান, দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর এ মিলে প্রায় শতাধিক কর্মচারী চুক্তিভিত্তিক কাজ করে যাচ্ছে। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে বুধবার শ্রমিকদের নিয়োগ, পদন্নতি ও স্থায়ীকরণের জন্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু অজানা কারনে হেড অফিস থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করেছে। এর ফলে মিল এলাকায় শ্রমিকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এখনি নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা না হলে আসছে মাড়াই মৌসুমে মিল চালানো অসম্ভব হয়ে পড়বে। যে কারনে শ্রমিকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করলে ঈদুল আযহার পর মিলে সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষনাও দেন এ শ্রমিক নেতা।