ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের ভায়না গ্রামের পালপাড়া এলাকায়। ওই এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তার বিশ্বাসের ছেলে বজলুর রহমান একই গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে মহসীন হাসান আকাশের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন।
জানা যায়, বজলুর রহমানের এ জায়গার দখল নিয়ে ইতিপূর্বে হরিণাকুণ্ডু থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছিলো। দখলকারীরা জমিদখল ছাড়াও ভুক্তভোগী বজলুর রহমানের কাছে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা চাঁদাদাবিসহ তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগ দাখিলের পর স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবগের সালিশ বৈঠকে দলিলপত্র যাচাই করে বজলুর রহমানের জায়গার সীমানা নির্ধারণ করে মহসীন হাসানের দখলকৃত জমি ছেড়ে দেয়ার কথা বলেন। তাৎক্ষণিক ছেড়ে দিলেও পরবর্তীতে সেই জায়গা আবার তার দখলে নিয়ে নেয় এবং বজলুর রহমানকে হুমকি দিয়ে আসছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৭নং ভায়না মৌজার আরএস খতিয়ান ২৮০৮/ ১০১৯৯/১১৮১৪ নং দাগে ২৮ শতক ও ১০২০০/১১৮১৫ নং দাগে ৬ শতক সর্বমোট ৩৪ শতাংশ জমি (যার দলিল নং ২২৬৬/২৩ এবং নামজারী খতিয়ান নং ২৬১৪) আব্দুর রাজ্জাকের কাছ থেকে ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে বিভিন্ন ফলদ গাছ রোপণ করে ওই জমি ভোগ দখল করেন।
সম্প্রতি মহসিন হাসানের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল ওই জমি দখলের জন্য ঘটনাস্থলে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করেন এবং তার রোপনকৃত গাছগাছালি ও জমিঘেরার কাজে ব্যবহৃত কনক্রিটের খুটি ও বেড়া উপড়ে ফেলেন সে সময় বজলুর রহমান বাঁধা দিলে তাকে মারপিট করে গুরুতর আহত করেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় বজলুর রহমানকে উদ্ধার করে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মহসিন হাসান বলেন, ক্রয়সূত্রে ওই জমির মালিক আমি। বজলুর রহমান প্রভাবশালী হওয়ায় থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে জোরপূর্বক আমার জমি দখল করেছেন। আবার তিনি আমার বিরুদ্ধে আদালতে মামলাসহ থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ ও দায়ের করেছেন। এছাড়া জমিঘেরার কাজে ব্যবহৃত কনক্রিটের খুঁটি ও বেড়া উপড়ে ফেলার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে বজলুর রহমান হরিণাকুণ্ডু থানায় অভিযোগ করলে অভিযোগ আমলে নিয়ে হরিণাকুণ্ডু থানা পুলিশ অভিযুক্ত মহসিনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছিলো।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বজলুর রহমান জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জায়গাগুলো দখলমুক্ত করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যপারে হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি জিয়াউর রহমান বলেন, এ বিষয় আমার জানা আছে। ইতিপূর্বে বজলুর রহমানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত মহসিনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছিলো । আবারও তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।