অসময়ে টানা ভারী বর্ষণে স্বপ্ন ভঙ্গে গেছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ও তিতুদহ ইউনিয়নের আলুচাষীদের। তাদের চোখে এখন বিষাদের পানি। তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে আলু চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার আলু চাষীরা এখন বিপদগ্রস্থ। ভারি বর্ষনে ভেঙ্গে গেছে তাদের স্বপ্ন।
চাষিরা বলছেন, গত এক সপ্তাহের মধ্যে যারা আলুর বীজ রোপণ করেছিলেন, তারা বেশি ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন। ফলে আলুচাষীরা মহাজনদের ঋণ নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বেশিরভাগ জমি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টির সময় কৃষকরা আলু রোপণের জমি থেকে সেচের মাধ্যমে জমির পানি নিষ্কাশন করেছে। তবে বেশির ভাগ জমির আলু পচে গেছে।
তিতুদহ ইউনিয়নের ছোটশলুয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মৃত: খেদের আলীর ছেলে আলু চাষী মিলন হোসেন বলেন, এবার আমি ৬৯ শতাংশ জমি বর্গা নিয়ে আলুর বীজ লাগিয়েছি। সার, শ্রমিক ও জমি বর্গা চাষ খরচসহ প্রায় ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে আমার সব জমিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় প্রায় ৯৫ ভাগ জমির আলু বীজ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। লাভের আশায় লোন করে এবং আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে টাকা ধার এনে আলু চাষ করেছিলাম, কিন্তু বৃষ্টি আমার সব স্বপ্ন ভেঙ্গে দিল।
তিতুদহ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বর লিটন বলেন, সারা দেশের ন্যায় তিতুদহ ও বেগমপুর ইউনিয়নে টানা তিনদিনের ভারি বর্ষনে চাষী মিলনের মত শত শত আলুচাষীর জমিতে আলুর বীজ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে বিশেষ করে আলুচাষীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আলুচাষে একদিকে মহাজনদের ঋণ, অন্যদিকে স্বজনদের কাছে ধারের টাকা নিয়ে চাষীরা রয়েছে চরম বিপাকে।
তিতুদহ ইউনিয়নের কৃষি কর্মকর্তা নিয়ামত আলী জানান, ‘নিম্নচাপ এবং অসময়ে বৃষ্টির কারণে এলাকার আলু চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যেসব জমিতে সপ্তাহখানের মধ্যে বীজ লাগিয়েছে তাদের ক্ষতির পরিমান বেশি। তাছাড়া তাৎক্ষনিক সমাধানে আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি।