‘নাটক শেষে কারও সঙ্গে কোনো কথা বলতে পারছিলাম না, শ্বাসনালির একটা জায়গায় প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছিল…ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা বাকার বকুল। নাটকটি আমাকে শক্তি দিয়েছে!’ ফেসবুকে এভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। আরেক নাট্যকর্মী নাহিদ স্মৃতি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তিন দিনে টানা চারটা শো, তবু শেষ সন্ধ্যায় টিকিট–সংকট! এমন সংকটই তো আমরা চেয়েছিলাম!’
যে নাটক নিয়ে এত উচ্ছ্বাস, তার নাম ‘আদম সুরত’। ঢাকার মঞ্চে নতুন নাটকটি এনেছে নাট্যদল তাড়ুয়া। শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার মিলনায়তনে গত ৩০ ও ৩১ মার্চ এবং ১ এপ্রিল নাটকটির টানা চারটি প্রদর্শনী হয়েছে।
প্রতিটি প্রদর্শনীই ছিল দর্শকে পূর্ণ। গত জানুয়ারিতে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় আয়োজিত ‘আলী যাকের নতুনের উৎসবে’ এই নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হয়। নাটকটির রচয়িতা বাকার বকুল, নিদের্শকও তিনি।
বাকার বকুল বলেন, ‘রোজার মধ্যেও অনেক দর্শক নাটকটি দেখতে এসেছেন। আমরা একটি হাউসফুল শো করতে পেরেছি। এ জন্য দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’ নাটকটির পরিচিতিপত্রে নির্মাতা বলেছেন, ‘দৃশ্যগুলো নৃশংসতার, নির্মমতার আবার দায়বদ্ধতারও বটে। আমাদের গা ঘেঁষে প্রত্যেহ জন্ম নেওয়া ঘটনাগুলোই বিষয়বস্তুর উৎস। ধারাবাহিক কোনো গল্প কিংবা ব্যাকরণগত নাটকীয় দ্বন্দ্বের চেয়ে সংবেদনশীল প্রশ্নই এখানে গুরুত্বপূর্ণ। এ নাটকে প্রতিফলিত হয়েছে আমাদের রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও ব্যক্তিগত জীবনে ঘটে চলা অমানবিক ঘটনাবলি, যেগুলোর বিচার তো দূরের কথা, হয়তো অনেক ঘটনা লোকচক্ষুর সামনেই আসে না। এভাবেই কেটে যাচ্ছে এই ভূখণ্ডে আমাদের জীবন। সামনে আসা কিংবা আড়ালে থাকা এই টুকরো টুকরো মুহূর্তগুলো নিয়ে তাড়ুয়ার নতুন প্রযোজনা আদম সুরত।’
‘আদম সুরত’ নাটকে অভিনয় করছেন আহসানুল ইসলাম, আহম্মেদ অপু, শাহজাদা সম্রাট চৌধুরী, সাক্ষ্য শহীদ, সুচিত্রা রায়, খায়রুল আলম, দিপু রহমান, আজগর হোসেন, খালিদ বিন নাসির, এনায়েত মুকুল, ইফতি আহমেদ প্রমুখ।
২০১৮ সালে লেট মি আউট নাটক দিয়ে ঢাকার মঞ্চে যাত্রা শুরু করে তাড়ুয়া। ‘আদম সুরত’ তাদের দ্বিতীয় প্রযোজনা।
সূত্র: প্রথমআলো