নির্বাচনী প্রতীক ট্রাক। এই প্রতীকে নির্বাচন জিততে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ভোট চাইছেন কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী কামারুল আরেফীন।
তিনি মিরপুর উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ও সদ্য পদত্যাগকারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।
স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী হিসেবে কামারুল আরেফীন ট্রাক প্রতীকে প্রতিনিয়ত গণসংযোগ করছেন।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সারাদিন মিরপুর ও ভেড়ামারা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে তিনি গণসংযোগ করেন। এ সময় তাকে পেয়ে ভোটারদের মধ্যেও আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখা যায়।
ভোটের প্রচার-প্রচারণা শুরুর পর থেকে গণসংযোগে বেরিয়ে পড়েন কামারুল আরেফীন। মিরপুর ও ভেড়ামারা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে নিজের প্রতীক ট্রাক প্রতীকে ভোট চান।
কামারুল আরেফীন গ্রামের নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ-বণিতা, তরুন-তরুনীদের সঙ্গে কথা বলে তাদেরও ভোট আদায়ের চেষ্টা করছেন। বলছেন, নির্বাচিত হলে তিনি এই আসনের আত্মমর্যাদা ফিরিয়ে দেবেন। এলাকার মানুষ এখন যে শোষণের মধ্যে আছেন, তিনি তা থেকে সবাইকে বের করে আনবেন। তিনি শোষক হিসেবে নয়, সেবক হিসেবে মানুষের পাশে থাকতে চান। সেবা করতে চান।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেছেন ভোটের মাঠে।
কামারুল আরেফীন বলেন, দুই উপজেলায় সর্বশ্রেণীর মানুষ আমার ট্রাক প্রতিকের পক্ষে মাঠে নেমেছে। এই দুই উপজেলার শুধু আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা নয় সাধারণ মানুষ আমাকে ভালবাসে, এটা দুই উপজেলার মানুষ আরেকবার প্রমাণ করেছেন। আমি তাদের ভালবাসার প্রতিদান দিতে চাই। ‘জনগণ পরিক্ষিত ত্যাগী ও উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম জনপ্রতিনিধি চান। তারা ঐক্যবদ্ধ। ফলে তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।’
প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে তিনি মিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগনিক সম্পাদক ও ২০১১ সালে মিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন কামারুল আরেফিন। একই সালে তিনি বিপুল ভোটে সদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৪ সাল এবং ২০১৮ সালে তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে দেশসেরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পদক লাভ করেন তিনি।