মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ২ দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার পূণমূর্ল্যায়নের দাবীতে জেলা প্রশাসকের বরাবর তিন ছাত্র আবেদন করেছেন।
রবিবার (২০ নভেম্বর) বিকালের দিকে সমাপনি ও পুরস্কার বিতরণের পরপরই তারা আবেদন করেন। আবেদনকারীরা হলেন মেহেরপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেনীর ছাত্র সাইনুর রহমান, গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র সানিম এহসান ও আমঝুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্র মোহাম্মদ জিহাদ হাসান।
তারা অভিযোগ করেন, আমাদের ক্ষুদ্র জ্ঞানগুলো বৈজ্ঞানিক রুপ দিয়ে প্রজেক্টের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন মেলায় প্রদর্শন করেছি। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মুল সমস্যাগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ শক্তি, সড়ক দুর্ঘটনা, জানজট ও বৈদ্যতিক দুর্ঘটনা চিহৃিত করেছেন। প্রধান মন্ত্রীর সেই চ্যালেঞ্জগুলোর বৈজ্ঞানিক সমাধান বের করে আমাদের মত প্রদর্শন করেছি। কিন্তু দু:খের বিষয় বিচারকদের মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় আমরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হৃদয় ভেঙ্গে দিয়েছে। আমরা বিচার প্রক্রিয়ায় হতাশ হয়েছি। এটা যেহেতু ডিজিটাল উদ্ভাবনি মেলা। এটাকে ডিজিটাল সেবার সাথে কিভাবে মেলানো হয়েছে। বিচার প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল উদ্ভাবনকে সেবার সাথে মিলিয়ে বিচার করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় বিরোধীতা করে তারা আবারো পুন:মূল্যায়নের দাবী জানান তারা।
উল্লেখ্য, ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় বিচারকদের রায়ে মেহেরপুর টিটিসি প্রথম, বাংলাদেশ পুলিশ দ্বিতীয় এবং মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় যৌথভাবে তৃতীয় পুরস্কার লাভ করেন।