গতকাল বুধবার দর্শনা কেরু চিনিকলের মিলগেটে আখ ওজন করা নিয়ে চাষী ও কতৃপক্ষের মধ্যে হট্টগোল ও মতবিরোধের ঘটনা ঘটেছে।
ফলে মঙ্গলবার রাত ১২ টা থেকে বুধবার দুপুর ১টা পর্যন্ত চাষীরা মিলের ডোঙায় আখ ফেলা থেকে বিরত থাকেন।
পুলিশ ও মিল কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের নির্দেশে সকাল ৮টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত দুই সিপটে ১৬ ঘন্টা চিনিকলের মিলগেটে আখ ওজন করা যাবে।
কিন্তু ঐদিন বেশ কিছু আখচাষী রাত ১২টার পর পাওয়ার ট্রলার ভর্তি করে আখ নিয়ে আসেলে মিলের নিয়ম অনুযায়ী আখের গাড়ি ওজন না করে কর্তব্যরত কর্মচারীরা অফিস বন্ধ করে দেয়।
ফলে মিলে আসা চাষীরা মারমুখী হয়ে চিনিকল কতৃপক্ষকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি ও মিলে আখ সরবরাহ করবে না বলে হুমকি ধমকি দিতে থাকেন। এ জন্য ঐদিন রাত ১২টা থেকে পরদিন বেলা ১টা পর্যন্ত মিলে কোন চাষী আখ ওজন দেয়নি।
ফলে মিল এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আখ ভর্তি পাওয়ার ট্রলার এসে দর্শনা-মুজিব নগর সড়ক প্রায় বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করে। গতকাল বুধবার কতৃপক্ষ বাধ্য হয়ে পুলিশকে খবর দিলে দর্শনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মাহবুব হাসান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন।
মঙ্গলবার রাতে আসা চাষী কুদ্দুস আলী যাদু মিয়া ও মসলেম মনডল সহ ১৫-২০জন বুধবার সাংবাদিকদের জানান, রাত ১২টার দিকে মাত্র ৫০টির মত আখের গাড়ি মিলগেটে থাকা অবস্থাই গেট বন্ধ করলে হট্টগোল বেধে যায়।
চাষীরা অভিযোগ করে বলেন চাষীরা সারা রাত গেটের বাইরে থেকে শীতে কষ্ট করবে আর মিলের বাবু-মশাইরা বাড়ি ঘুমাবে তা হবেনা, মিল গেট ১৬ ঘন্টা না ২৪ ঘন্টা খোলা রাখতে হবে, তা না হলে আমরা চাষীরা কেউ মিলে আখ সরবরাহ করবোনা।
মিলের জি এম (কৃষি) উত্তম কুমার কু-ু জানান, চিনি করপোরেশনের নির্দেশ মোতাবেক ১৬ ঘন্টার বেশি মিলগেট খুলে রাখার অনুমতি নেই। কর্মচারীরা সেটাই করেছে, চাষীরা জেনেও খামাখা চটে গেছেন।
চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: জাহেদ আলি আনছারী সাংবাদিকদের জানান, চাষীদের সুবিধার্থে মিলগেটে পুর্জি বাড়ানোর ফলে একটি ঘটনা ঘটেছিল, সমাধান হয়ে গেছে। মিলে চাষিদের আখ আসা শুরু হয়েছে।
-দর্শনা প্রতিনিধি