দেশের ১৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলের লোকসানের বোঝা কমাতে ৬টি চিনিকল বন্ধের প্রতিবাদে দর্শনা কেরু চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারী ও আখ চাষীরা কর্মবিরতি ও সমাবেশ পালন করেছে।
গতকাল সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর ডিষ্ট্রিলারীর গেটের সামনে এ কর্মবিরতি ও সমাবেশ করেন।
বাংলাদেশ খাদ্যশিল্প করপোরেশন দেশের ৬টি চিনিকল বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এসব চিনিকলগুলোর মধ্যে রয়েছে কুষ্টিয়া, পাবনা, রংপুর, পঞ্চগড় শ্যামপুর ও সেতাবগঞ্জ।
চলতি আখ মাড়াই মৌসুমে চিনিকল বন্ধের সরকারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বাংলাদেশ চিনিশিল্প করপোরেশন শ্রমিক কর্মচারী ও আখচাষী ফেডারেশনের যৌথ উদ্যোগে আন্দোলনে নেমেছে।
সোমবার সকাল ৯টা থেকে কেরু চিনিকলের শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি তৈয়ব আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, আখ চাষী নেতা আব্দুল বারী, শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান, মনিরুল ইসলাম প্রিন্স, সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক খবির উদ্দিন, শ্রমিক নেতা ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ, মেম্বর বাবর আলী প্রমুখ।
বক্তারা ১৫টি চিনিকল উন্নয়ন করে চালু করার দাবী করেন। এছাড়া আগামী ৯ ডিসেম্বর স্ব-স্ব এলাকায় জেলা প্রশাসক, উপজেলা নিবার্হী বরাবর, স্মারকলিপি পেশ করার কথা জানান। আগামী ১৫ ডিসেম্বর আসন্ন মাড়াই মৌসুমে ৯টি চালু ও ৬টি মিল বন্ধের আত্মঘাতী সিন্ধান্ত বাতিল ও প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে বলেন, অন্যথায় সকল মিল বন্ধ, রেলপথ, সড়কপথ অবরোধসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে বক্তারা জানান।