চলতি আখ মাড়াই মৌসুমে সেটাপ বহির্ভূত ৪২ জন দিন হাজিরার শ্রমিককে ছাটাই করে দিয়েছে মিল কতৃপক্ষ। চাকুরী ফিরে পেতে ইতোমধ্যে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছে।
ওপরদিকে দোষ এড়াতে কেরুজ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করছে ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ। এদিকে ৪২ জন শ্রমিক প্রত্যক কর্মসূচিতেই কেরুজ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে কোটি টাকা অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ তুলছে।
এরই প্রতিবাদে গত শনিবার বিকালে দর্শনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন ইউনিয়নের সভাপতি তৈয়ব আলী ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, অভিন্ন ভাষায় বলেন দষ্খিণ পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি কেরুজ চিনিকল।
এলাকার বেকার ছেলেগুলো কাজের বিনিময়ে উপার্জন করুক এ রকম ভাবনা নিয়েই তাদের বিভিন্ন সেটাপে অস্থায়ীভাবে কর্মের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক যেই আসুক তাকে বুঝিয়ে তাদেরকে টিকিয়ে রাখছি।
কিন্তু এবার মাড়াই মৌসুমে সারা বাংলাদেশে ১৫ টি চিনিকলের মধ্যে ৬ টি বন্ধ হয়ে গেছে। প্রত্যেক মিলে ডেলি হাজিরার শ্রমিক ছাটায় করে দিচ্ছে। আমরা তাদেরকে চাকুরী ফেরত পাওয়ার জন্য দুই সংসদ সদ্যস্যর কাছে সুপারিশ করেছি।
শ্রমিক নেতারা আরও বলেন তাদের জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এদিকে কেরুজ ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাইদ বলেন এ প্রতিষ্টানের জন্য যা যা করার দরকার তাই করতে হবে।
কিভাবে প্রতিষ্টান লাভে আসবে আমরা সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্চি। আমরা যাদেরকে বাদ দিয়েছি তারা আমাদের সেটাপের বাইরে আমাদের কাগজ কলমে তাদের কোন নাম নাই। এ প্রতিষ্টান টিকিয়ে রাখতে হলে প্রয়োজনে আরও কিছু দিন হাজিরার লোককে বাদ দেওয়া হবে।