চুয়াডাঙ্গা জেলার একমাত্র ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান দর্শনা কেরু এ্যান্ড কোম্পানী। এ কের এ্যান্ড কোম্পানীতে শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচন মানে জেলা জুড়ে ইইচই পড়া। এ কেরু শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচন হয় প্রতি দুই বছর পরপর। তারিই ধারাবাহিকতায়
দর্শনা কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ না মাসুদুর রহমান মাসুদ এ নিয়ে চলছে চলছে টানাটানি।
কেরুজ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন সুত্রে জানাগেছে, কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক থাকা সময়কালে মাসুদুর রহমান মাসুদ আবসর গ্রহন করেন গত ১৭/১০/২৪ তারিখে। এরপর কেরুজ ম্যানেজমেন্ট এর নিবার্চন পরিষদ ও শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সকল সদস্য মিলে ১নং জয়েন্ট সেক্রেটারী হাফিজুর রহমানকে শ্রমিক নীতিমালা অনুযায়ী পূনার্ঙ্গ সেক্রেটারী পদে নিবার্চিত করেন। এরপর বিগত ১৯ অক্টোবর-২০২৪ তারিখ শপথ ও গ্রহন করেন হাফিজ। গত সোমবার হটাৎ করে হাইকোটের একটি রায় আসে মাসুদুর রহমানের পক্ষে স্বপদে বহাল থাকার জন্য।
এ রায়ের বিষয়ে মাসুদুর রহমান বলেন, আমার চাকুরী থাকা অবস্থায় আগামী ২৫/০২/২০২৫ তারিখ নিবার্চন না হওয়া পর্যন্ত ইউনিয়ন সদস্যদের বহিরাগত ১০% অনুকুলে সাধারন সম্পাদক পদ বহাল রাখার অনুকুলে হাইকোটে একটি আপিল করেন। সেই আপিলে হাইকোর্টের রায় এসেছে আমার পক্ষে। তবে তিনি আরো বলেন, যদি হাফিজুর রহমান সহনশীল হয় তাহলে স্বপদে থাকতে পারবো। এছাড়া তারও আপিল করার সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে হাফিজুর রহমানের জন্য ভাল হবে। এ বিষয়ে বর্তমান শ্রমিক ও কর্মচারীর নীতিমালা অনুযায়ী সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আসলে মাঠ গরম করার জন্য এসব করছেন তিনি। এছাড়া গত ১৭ আক্টোবর-২০২৪ তারিখ তিনি আবসর নিয়ে মিলের নিকট তার দেনা ও পাওনা বুঝে নিয়ে গেছে। আর আমিও ম্যানেজমেন্ট ও বর্তমান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্যদের পূনার্ঙ্গ মতামতের ভিত্তিতে শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন করছি। এটা কিভাবে সম্ভব। এছাড়া তার কর্মজীবনের মেয়াদকাল হওয়ার পর দেরিতে রায় আসছে।
বিষয়টি বর্তমান সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ সবুজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এ বিষয়ে শ্রমিক ও কর্মচারী নীতিমালা দেখবো। তারপর কি সিদ্ধান্ত হয় দেখা যাবে। বর্তমান সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ আরও বলেন,যেহেতু হাইকোর্টের রায় এসেছে আমরা ইউনিয়ন পরিষদ বসে একটি সিদ্ধান্ত নেব। এ ঘটনায় কেরু এলাকা জুড়ে বইছে আলোচনা সামালোচনার ঝড়। তাহলে কেরু শ্রমিক ইউনিয়নে আবারও কোন অঘটন ঘটতে যাচ্ছে।
কেরু এক শ্রমিক নাম না বলার শর্তে বলেছেন, যে হাইকোর্টের রায় এসেছে সব কিছু সভাপতির উপর নির্ভর করছে। তাই সভাপতি শ্যাম রাখবে না কুল রাখবে।
তবে এ বিষয়ে কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা, তবে আমি ঢাকা থেকে ফিরে বিষয়টি দেখবো।