চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন পারকৃষ্ণপুরের উদ্যোক্তা শাকিল হোসেন ৩৫ বিঘার বিশাল মিশ্র ফলের বাগান করে সফল হয়েছেন।
উদ্যোক্তা শাকিল হোসেন বলেন কৃষি আমার রক্তের সাথে মিশে আছে কারন আমার দাদা ছিলেন কৃষক, আমার বাবা ছিলেন কৃষক। কৃষি পরিবারের সন্তান আমি। ছোটবেলা থেকেই বাপ দাদার কৃষি কাজ দেখে আসছি এজন্যই হয়তো আমার কৃষির প্রতি এতটা টান ও ভালবাসা কাজ করে।
আমার চাকরীর চিন্তা মাথায় আসেনি কারণ পরের অধিনে কাজ করার ইচ্ছে ছিল না আমার। আর যেহেতু বাপ-দাদার জায়গা জমি আছে তাই আমি নিজে উদ্যোক্তা হয়েছি। আপনারা আমার বাগানে এসে দেখতে পারছেন আজ আমি কতটুকু সফল হয়েছি। আর একটি বিষয় বলতে চাই আমার এই ৩৫ বিঘার মিশ্র ফলের বাগানে ১৫ জন কর্মরত আছে।
তারা সারাদিন এর দেখাশোনা করেন পাশাপাশি আমি তাদের সাথে কাজ করি। আমার এই মিশ্র ফেলর বাগানে বিভিন্ন ফলের গাছ রয়েছে কমলা,পেয়ারা,মাল্টা,কয়েক জাতের লেবু, আম,আলু বোকরা ইত্যাদি সকল দেশি বিদেশি ফলের জাত রয়েছে আমার এই মিশ্র ফলের বাগানে। এই মিশ্র ফলের বাগানের পাশাপাশি আমার একটি নার্সারি আছে।
আমি নার্সারী গড়ে তুলেছি এর কারণ আমি যখন প্রথম বাগান শুরু করি তখন ফলের চারা কিনে প্রতারিত হয়েছিলাম। তখন মনে জেদ হয়েছিল আমি বাগান করবো পাশাপাশি একটি ছোট নার্সারী তৈরি করে সঠিক জাতের চারা কৃষকদের হাতে তুলে দিব। আমি জানি চারা কিনে প্রতারিত হলে কত কষ্ট লাগে।
আমি মনে করি একটি বাগান মানে একটি সপ্ন আর সপ্ন যদি পূরণ না হয় তাহলে তার জন্য অনেক কষ্টের পাশাপাশি সময় ও টাকা নষ্ট হয়। এজন্য আমি বাগানের পাশাপাশি নার্সারী গড়ে তুলেছি। সেই সাথে আমার মিশ্র ফলের বাগান আসার জন্য মেহেরপুর প্রতিদিন সহ আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।