চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছে ভারতে আটকে পড়া ১১ বাংলাদেশী।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দর্শনা জয়নগর সীমান্ত পথ দিয়ে তারা দেশে প্রবেশ করে। দেশে প্রবেশের পর তাদের সবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।
পরে বিশেষ পরিবহন ব্যবস্থায় তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে। ফিরে আসাদের মধ্যে রয়েছেন, চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারির পাহাড়তলীর ছকিনা বেগম (৪৫), উত্তর কাটলী গ্রামের শফিকুল ইসলাম (৪৫), রানবাজারের জিয়া উদ্দীন (৫০), পাটখালী গ্রামের জহির উদ্দীন (৩৮), সাব্বির আহমেদ (৪৮), ইউনুস আলী (৫৭), মুক্তা বেগম (৪৮), কৃষ্ণ কুমার (৩৫), নওগাঁ সদরের শাহজাহান আলী (৫৫) ও তানিয়া বেগমসহ (৪৭) ১১ জন।
দর্শনা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, ভারতে আটকে পড়াদের মধ্যে সোমবার প্রথম বারের মতো ১১ জন দেশে প্রবেশ করেছে। এর আগে তারা ভারতীয় উপ-হাইকমিশন থেকে অনাপত্তিপত্র গ্রহন করে। পরে ভারতের নদীয়া জেলার গেদে চেকপোস্টে কাস্টমস ইমিগ্রেশন শেষে দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে দেশে প্রবেশ করে তারা। দর্শনা চেকপোস্টে সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিশেষ ব্যবস্থায় তাদেরকে কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়।
দর্শনা ইমিগ্রেশন পুলিশের এসআই আব্দুল আলীম জানান, সোমবার ফেরত আসা সবাই চিকিৎসা নিতে ভারতে গিয়েছিল। এরপর করোনার লকডাউনের কারণে দেশের সীমান্ত পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা ভারতে আটকা পড়ে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজ হোসেন জানান, দেশে প্রবেশে পর তাদেরকে বিশেষ পরিবহন ব্যবস্থায় চুয়াডাঙ্গার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) ভবনে নেয়া হয়েছে। সেখানেই তাদেরকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে।
পুরো প্রক্রিয়া তদারকিতে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজ হোসেন, দর্শনা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির দর্শনা কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার আব্দুস সহিদ ও দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ অমিত সাহা।উল্লেখ্য, এর আগে রোববার তাদের দেশে ফেরার কথা থাকলেও এনওসি জটিলতায় তারা সেদিন দেশে ফিরতে পারেনি।