দামুড়হুদার উপজেলার দর্শনা সীমান্তের কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামের খলিলের ছেলে খায়রুল বাশার মিলন ও তার পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বসতবাড়ি থেকে নগদ লক্ষাধিক টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ ডাকাতেরা। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে ফুলবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, নগদ ১ লাখ ৯৭হাজার টাকা ও ১ জোড়া হাতের রুলিবালা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লুট করে নিয়ে গেছে বলে জানায় ভুক্তভোগীরা।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে ডাকাতির এ ঘটনা ঘটে কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামের মালিতা পাড়ার প্রধান সড়কের পাশেই মিলনের বাড়ি দ্বিতলা ভবনে।
এর মধ্যে নিচতলায় পরিবার নিয়ে থাকতো খলিলের ছেলে মিলন। সেখানেই ঘটে ডাকাতির ঘটনা।
মিলন সাংবাদিকদের বলেন, রাত সাড়ে ১২ টার দিকে আমি ও আমার স্ত্রী বাহিরের বাথরুম যায় বাথরুম শেষে মিলন ও তার স্ত্রী ঘরের ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ঘরে থাকা নগদ প্রায় দুই লাখ টাকা ও ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার থেকে স্ত্রীর হাতের বালা ও নাকের নথ নিয়ে পালিয়ে যাবার সময় মিলনকে হাত বাধা ও চোখ বন্ধ অবস্থায় দামুড়হুদার ফুলবাড়ি সীমান্তের ৫৪ টি পিলার অতিক্রম করে ভারতের সীমানায় নিয়ে গিয়ে খালের ধারে ফেলে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা মিলনের চিৎকার শুনে ভারতীয় সীমান্তের খালের পাড় থেকে রাতেই উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে এলাকাবাসী মিলনকে । রাতেই ফুলবাড়ি সীমান্তের টহলরত বিজিবি মিলনের সাথে কথা বলেছে বলে জানান মিলন ও তার পরিবার। গত বৃহস্পতিবার সকালে মিলন দর্শনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানাগেছে।
মিলন আরো বলেন, তাদের প্রত্যেকের হাতে পিস্তল, ছুরি ও দেশীয় অস্ত্র ছিল। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে পরিবারের সবাইকে। এরপর বাড়ির ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার থেকে নগদ ১ লাখ ৯৭ হাজার টাকা, হাতের রুলিবালা ও নাক ফুল নেয়।
ঘটনার পরপরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করেছে বলে জানান মিলন।
এবিষয়ে দর্শনা থানার এস আই স্বপন কুমার সরকার বলেন, ওসি স্যার আমাকে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য নির্দেশ দেন আমি সঙ্গে সঙ্গে ফুলবাড়ি মিলনের বাড়িতে যায়। সবকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। সার্বিক তদন্ত শেষে মূল ঘটনার কথা বলা যাবে।
এ বিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ লুৎফুল কবির বলেন আমার অফিসার ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনাস্থলে যেয়ে কোন সত্যাতা পায়নি। তবে ওদের মধ্যে চোরাচলানীর লাইনম্যান ভাগাভাগি নিয়ে মৃল ঘটনা।