দর্শনা থানার সীমান্তবর্তী নাস্তিপুর গ্রামে দুবৃর্ত্তের গুলিতে নিহত বিজিবির সোর্স হয়রত আলী বিশ্বাস ওরফে হযো (৫৭) দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
গতকাল বুধবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিহতর মরদেহর ময়না তদন্ত শেষে সন্ধায় গ্রামের স্কুল মাঠে নামাজের জানাযা শেষে কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।
নিহত হযরত আলী দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের নাস্তিপুর গ্রামের বাদলা বিশ্বাসের ছেলে।
গভীর রাতে দূর্বৃত্তরা ঘরের জ্বানালা দিয়ে নিজ ঘরে ঘুমন্ত অবস্হায় হযরতকে গুলি করে হত্যা করে। এ হত্যা কান্ডের ঘটনায় নিহতর মেয়ে সুমি বাদি হয়ে দর্শনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশ হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য গ্রামের হায়দারের ছেলে জসিম (৩২) কে আটক করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, চলতি মাসে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বিজিবি কর্তৃক দুটি র্স্বণের বড় চালান আটক করার জের ধরে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ এ,এইচ, এম লুৎফুল কবীর বলেন, তাকে লক্ষ করে হত্যার উদ্দ্যেশ্যে দুই রাউন্ড গুলির তাককরা হয়েছে। এরমধ্যে নিহতর শরীরের একটি গুলি বৃদ্ধ হয়।
ঘটনাস্থল থেকে বন্দুকে দুইটি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। দর্শনা থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। আমরা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামী ধরার জন্য জাল বিস্তার করেছি। কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। আর তদন্ত করে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করবে। ধারনা করা হচ্ছে দূর্বৃত্তরা যে অস্ত্র ব্যবহার করে গুলি ছোড়া হয়েছে সেটি নাইন এম,এম পিস্তলের গুলি বলে ধারনা করছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নিজ বসত ঘরে ঘুমিয়ে ছিল হযরত আলী। এসময় ঘরের পিছনের একটি জ্বানালা দিয়ে ঘুমন্ত হযরত আলীকে লখ্য করে গুলি ছোড়ে দূর্বৃত্তরা। এতে গুলি বিদ্ধ হয়ে গুরুত্বর ভাবে আহত হয় সে।
পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে রাত ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্য হয়।