চাকরির পিছনে না ছুটে কৃষি কাজকে ভালোবেসে লেখাপড়ার পাশাপাশি বারোমাসি সাদা ৫ জাতের পেয়ারায় স্বপ্ন দেখছেন চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা নাস্তিপুর গ্রামের তরুণ উদ্যেক্তা ওমর ফারুক। শখের বসে ১০ কাটা জমিতে দুইশত পেয়ারার চারা রোপণ করে সফলতা পাওয়ার পাশাপাশি নিজেকে সাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলেছেন তরুণ এই উদ্যোক্তা।
ওমর ফারুক বলেন পেয়ারার অন্যান্য অনেক জাত থাকলেও সাদা ৫ জাতের পেয়ারায় ফলন বেশি পাওয়া যায় এবং স্বাদও বেশি। বারোমাস গাছে পেয়ারা থাকায় এর চাহিদা বেশি, পাশাপাশি বাজার মূল্য ভালো পাওয়া যায়। আমার পেয়ারা বাগানের বয়স এখন দুই বছর। শুরুতে বাগান তৈরিতে চারা কেনা, জমি প্রস্তুত করা, সার, ঔষধ ইত্যাদি কিনতে আমার প্রায় ১ লক্ষ টাকা মতো খরচ হয়েছিল। বাগান শুরুর ৭ মাস পর থেকে আমি পেয়ারা বিক্রি করি। সাদা ৫ জাতের পেয়ারায় রোগ বালাই কম দেখা যায়। রোগ বালাই বলতে ছত্রাক দেখা যায় এবং গাছের ডাল পঁচা রোগ দেখা যায় এক্ষেত্রে ওষুধ দিলেই এর সমাধান করা যায়। পেয়ারার একটু পরিচর্যা করলেই অধিক ফলন ও মুনাফা পাওয়া যায়।
উদ্যেক্তা ওমর ফারুক আরও বলেন আমার বাবা কৃষি কাজ করে, আমি কৃষক পরিবারের সন্তান। ছোটবেলা থেকেই কৃষি কাজ ভালো লাগে। আমি পড়াশোনা করেছি কৃষি বিষয় নিয়ে, এতে করে আমার অনেক সুবিধা হচ্ছে চাষ করতে। চাকরির প্রতি আমার কোন আগ্রহ নেই আমি কৃষি কাজ নিয়েই থাকবো। আমি মেহেরপুর প্রতিদিন কে বিশেষভাবে ধন্যবাদ দিতে চাই আমার গল্প তুলে ধরার জন্য। কারন আমার এই বাগান দেখে অনেক তরুণ কৃষি কাজে আগ্রহ দেখাবে।