চুয়াডাঙ্গা সদরের দোস্ত গ্রামে বাড়িসহ জমি দখল করে নিয়েছে রাজু আহম্মেদ ও জলিল মোল্লা। এ ঘটনায়ে আজ শুক্রবার দর্শনা থানায় একটি মামলা হয়েছে।
মামলার বিবরনে জানাগেছে,২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে চুয়াডাঙ্গার সদরের দোস্ত মৌজায় নিকট হতে ১৫নং খতিয়ান নং- আর, এস ৬৩০, দাগে ৩২৪ এর ৫.৬৮ শতক জমি ক্রয় করে মিজানুর রহমান। পরে মিজানুর রহমান দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের হাউলী গ্রামের মহাসিন আলীর কাছে বিক্রি করে। মহাসিন ঐ বাড়িতে বসবাস করা অবস্থায় চুয়কডাঙ্গা ২ আসনের সাবেক এমপি আলী আজগার টগরের নির্দেশে রাজু আহম্মেদ ও জলিল মোল্লা ঐ বাড়ি জোর পৃর্বক দখল করে মহাসিনকে জোর পৃর্বক তাড়িয়ে দেয়।
দীর্ঘ ১১ মাস পর দর্শনা থানা পুলিশ মামলা গ্রগন করে। গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে মহাসিন (৪৩) মিজানুর রহমান (৩৩)ও বাদলসহ বাড়িতে উঠতে গেলে তাদের ৩ জনকে বেধড়ক মরপিট করে মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এ ঘটনায় দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের পুরাতন হাউলী পাড়ার মৃত্য ফকির মোহাম্মদের ছেলে বাদি হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদরের দোস্ত মোল্লা পাড়ার কাদের মোল্লার ছেলে, রাজু আহম্মেদ (৩৬) জলিল মোল্লা (৫২),বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও জোর পৃর্বক বাড়িসহ জমি দখলের একটি মামলা করে।
মামলা সুত্রে জানাগেছে, আমি উক্ত বিষয় নিয়ে ইতিপূর্বে বিজ্ঞ আদালতে দেওয়ানী মামলা করি বিবাদীদ্বয়ও বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেন। উভয় পক্ষের মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে। আমি নিজ নামে থাকা জমি দখল নিতে গেলে বিবাদীদ্বয় আওয়ামীলীগ সৈরাচার সরকার এর স্থানীয় নেতাদের সাহসে হুমকি ধামকি প্রদান করে উক্ত জমি ভোগ দখল হতে দূরে রাখে। পরবর্তীতে আমি আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি তাদের নিকট হতে দখল নিতে চাইলে বিবাদীদ্বয় আমার নিকট হতে ১০ লক্ষ টাকা দাবী করে। আমি তাদেরকে ১০ লক্ষ টাকা দিলে তারা আমার সম্পত্তি ছেড়ে দিবে। আমি তাদেরকে বিভিন্ন সময় নগদ ৪ লক্ষ টাকা বিভিন্ন সময় প্রদান করি। তারপরও আমাকে বাড়িতে উঠতে দেয়নি।
এ বিষয়ে দর্শনা থানার ওসি তদন্ত শফিকুল ইসলামকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন আমরা তদন্ত করে আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।