একদিকে সংসার, অন্যদিকে দোকান দুটিই শক্তহাতে সামাল দিচ্ছে দর্শনার একদল নারী উদ্যোক্তা। মফস্বলের এমন পরিবেশ, বর্তমানে দেশের অনেক জেলা এমনকি বিভাগীয় শহরেও চোখে পড়েনা। বলছি চুয়াডাঙ্গার সীমান্তবর্তী ছোট্ট শহর দর্শনার কথা।
স্থানীয় রেল বাজারস্থ কেরু সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় গড়ে উঠেছে এই নারী উদ্যোক্তা কর্নার। অন্তত্য ২০ জন নারী উদ্যোক্তার দোকান এই উদ্যোক্তা কর্নারে। যেখানে ক্রেতা-বিক্রেতার তালিকায় অধিকাংশ নারী।
অনেক সামাজিক প্রতিবন্ধকতাকে পিছু ঠেলে, অদম্য সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে মফস্বলের নারী উদ্যোক্তারা। মফস্বল শহরের এই নারীগণের চোখেমুখে দেশসেরা উদোক্তা হওয়ার বাসনা। প্রয়োজন শুধু সরকারি-বেসকারি পৃষ্ঠপোষকতা এবং ক্রেতা সাধারণের সহযোগিতা।
মুজিব জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীতে দাঁড়িয়ে মার্কেট কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসনের কাছে নারীগণের দাবী, নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহ যোগাতে মার্কেটের দ্বিতীয় তলা নারী কর্নার হিসেবে ঘোষণা এবং দ্বিতীয় তলার সমস্ত দোকান নারী উদ্যোক্তাদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হোক।
এ প্রসঙ্গে একজন নারী উদ্যোক্তা সিলভিয়া রুম্মান এলমি বলেন, একজন নারীকে প্রতিদিন তার অস্তিত্ব রক্ষায় লড়াই করতে হয়। এ লড়াই বেঁচে থাকার, ভালো থাকার। যদিও গৃহের বাহিরের কাজগুলি সবসময় চ্যালেঞ্জিং।
আমরা সে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে সরকারি নানা উদ্যোগের কথা কানে এলেও, আমাদের সাথে এখনো পর্যন্ত সরকারি কোন দপ্তরের দেখা মেলেনি, সহযোগিতা তো দূরের কথা। আমরা সব পক্ষের সহযোগিতায় সমাজটাকে বদলে দিতে চাই।
দর্শনা কেরু এ্যান্ড কোম্পানির মহাব্যাবস্থাপক (প্রশাসন) শেখ শাহাব উদ্দীন বলেন, কেরু এ্যান্ড কোম্পানি বাংলাদেশ সরকারের একটি রাষ্ট্রিয় প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি ঐতিহাসিকভাবে ঐতিহ্যগত ভাবে নানামুখী জনগণের সেবা দিয়ে আসছে।
সেই সেবার একটি অংশ কেরু এ্যান্ড কোম্পানির বাজার সংলগ্ন একটি মাঠে ২৭টি দোকান করা হয়েছে ইতিমধ্যে। এই দোকানগুলির মধ্যে দ্বিতীয় তলায় নারীরা স্বাধীনভাবে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত করছে।
আমি মনে করি যে চুয়াডাঙ্গা জেলার সার্বিকভাবে নারী উদ্যোক্তাদের যে সহযোগিতা করা দরকার সেটাও কেরু এ্যান্ড কোম্পানি করে আসছে। আমি এই নারী উদ্যোক্তাদের সার্বিক শুভ কামনা করে শুভেচ্ছা জানাই।