করোনা ভাইরাসের মহামারিতে এর প্রভাব পড়েছে সব কিছুতে। বাদ যায়নি তরি তরকারিও। চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনায় কাঁচা তরকারির দাম আকাশ ছোঁয়া। এতে করে বিপাকে পড়েছেন মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন আয়ের মানুষেরা। এই করোনা মহামারিকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু কাঁচামাল ব্যবসায়ী কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি করে নিজের পকেট ভারী করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে মানুষের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় থাকা আলু বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ,৩০-৩৫ টাকা ,পিয়াজ ৪০- ৫০ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা , পটল ৩০-৪০টাকা, কলা ৩৫-৪০ টাকা ;কচু ৫০-৬০ টাকা , শাক ৮-১০ টাকা , শশা ২৫- ৩৫ টাকা , পেপে ২০-৩০ টাকা, লাউ প্রতিপিছ ৩০-৩৫ টাকা , রসুন ১০০-১২০ টাকা, কাচকলা ৩৫-৪০ টাকা, আমড়া ২৫-৩০ টাকা, কচু ২৫-৩০ টাকা, টমেটো ১০০-১২০ টাকা, আদা ১৮০-২০০ টাকা, আর কাঁচা মরিচে ঝাল লেগে গেছে ১৮০-২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে।
এ বিষয়ে দর্শনার খুচরা কাঁচামাল ব্যবসায়ীর কাছে এই মূল্যবৃদ্ধির সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা পাইকারি কাঁচামালের আড়ত থেকে যে দামে মাল ক্রয় তার থেকে কিছুটা লাভ করে আমার বিক্রি করে থাকি, এখানে আমাদের কোনো হাত থাকে না।
মূল্য বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে দর্শনার পাইকারি কাঁচামাল আড়তদাররা এ বিষয়ে বিভিন্ন অজুহাত দিতে থাকে বলেন আবহাওয়া খারাপ বৃষ্টির কারণে গাছের অনেক ক্ষতি হয়েছে, গাছ মারা গেছে , ফলনও কম হওযায় দাম বেশি হয়ে গেছে এবং চাষীর কাছ থেকে বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে বলেই দাম বেশি।
তবে বাজার ঘুরে দেখা গেছে মুদি পণ্য তেল, ডাল, মসলার দাম কিছু টা কম, কিন্তু কাঁচামালের দাম বেশি হওয়ার করাণে বিপাকে পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষেরা। আবার আর একদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে অনেকে কাজ হারা হয়েছে তার মধ্যে প্রতিদিনের প্রয়োজন কাঁচাতরকারির এত দাম হওয়ায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।