দর্শনায় নিজ দলীয় নেতাকর্মীর হাতে হামলার শিকার হয়েছে দর্শনা পৌর বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক এম,জেনারেল ইসলাম।
শনিবার সকালের দিকে তিনি নিজ দলীয় নেতা-কর্মীর হাতে দু’দফায় হামলার শিকার হয়। এতে শারিরীক ভাবে লাঞ্ছিত করা হয় দর্শনা পৌর বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক এম,জেনারেল ইসলাম।
ঘটনাটি নিয়ে এলাকা জুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। জানাগেছে, শনিবার সকালে মহান স্বাধীনতা দিবস পালনের উদ্দ্যেশে দর্শনায় আসেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস-ট্রাক সড়ক পরিবহনের সভাপতি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সংগঠনের দর্শনা বিএনপি’র প্রধান সমন্বয়ক এম জেনারেল ইসলাম।
এসময় তিনি দর্শনা রেলবাজার বটতলা সংলগ্ন আল্লাহর দান হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে দর্শনা মোটরশ্রমিক ইউনিয়ন শাখা কার্যালয়ের সাধারন সম্পাদক নাজিম উদ্দিনের সঙ্গে আলাপচারিতা করছিলেন।
সে সময় একই সংগঠনের দর্শনা পৌর যুব দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সমন্বয়কারী কমিটির সদস্য নাহারুল ইসলাম, জয়নগরের ওসমান, সহ ১০/১২ জন নেতা-কর্মী গালমন্দ সহ অতর্কিত হামলা চালায় এম,জেনারেলের উপর।
এসময় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় হামলাকারীদের কবল থেকে উদ্ধার করা হয় তাকে। এরপর তিনি চুয়াডাঙ্গার উদ্দ্যেশে ফেরার সময় পথিমধ্যে দর্শনা সুইপার কলনীর সামনে পৌছালে তারা পূনরায় পথ গতিরোধ করে তাকে মারধর সহ শারিরীক ভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।
একটি সুত্রে জানা যায়, এ হামলার সময় শারিরীক ভাবে লাঞ্ছিত হয় এম,জেনারেল ইসলামের বহনকারী মোটরসাইকেল চালক দর্শনা মোটরশ্রমিক ইউনিয়ন শাখা কার্যালয়ের সাধারন সম্পাদক নাজিম উদ্দিন।
দর্শনা মোটরশ্রমিক ইউনিয়ন শাখা কার্যালয়ের সাধারন সম্পাদক নাজিম উদ্দিন বলেন, এম,জেনারেল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা হতে দর্শনায় বাস যোগে দর্শনায় মহান স্বাধীনতা দিবসে পৌর বিএনপির র্যালীতে যোগদানের জন্য দর্শনায় আসেন। এজন্য আমাকে দর্শনা বাসস্ট্যান্ডে থাকতে বলে।
সে কথা অনুযায়ী আমি বাসস্ট্যান্ড হতে মোটরসাইকেল যোগে তাকে নিয়ে রেলবাজারের আল্লাহর দান হোটেলের সামনে নিয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় নাহারুল সহ কয়েকজন চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস-ট্রাক সড়ক পরিবহন ইউনিয়নের সভাপতি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সংগঠনের দর্শনা বিএনপি’র প্রধান সমন্বয়ক এম জেনারেল ইসলাম হামলা চালিয়ে মারধর করা সহ শারিরীক ভাবে লাঞ্ছিত করে।
এরপর সেখান হতে ফিরে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে দর্শনা সুইপার কলনীর নিকট পৌছালে পূনরায় সেখানে পথ গতিরোধ করে মারধর সহ শারিরীক ভাবে লাঞ্ছিত করে।
এবিষয়ে জানতে এম,জেনারেল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ থাকায় তিনার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
নাহারুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি একটু সমস্যার মধ্যে আছি পরে কথা বলছি।
দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ,এইচ,এম লুৎফুল কবীর বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি তবে এবিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি।