দর্শনা মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে নেমে সাইদুর রহমান ঝলক নামের এক কাঁচামাল ব্যাবসায়ী নিখোঁজ হয়। গত শনিবার বিকালে মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সে। নিখোঁজের ২৪ ঘন্টাপর নদীতে সন্ধান চালিয়ে ঝলকের মৃতদেহ উদ্ধার করে ডুবরীর দল।
জানা গেছে, দর্শনা পৌর এলাকার ইসলাম বাজার পানির ট্যাংকি পাড়ার বাসিন্দা ও দর্শনা রেলবাজারের বিশিষ্ট কাঁচামাল ব্যবসায়ী বাচ্চু ভান্ডারের সত্বাধিকারী সাইদুর রহমান ঝলক (২৫) গত শনিবার বিকাল ৫ টার দিকে মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করার উদ্দ্যেশে রওনা হয়।
এসময় জয়নগর গ্রামের ভারত সীমান্তবর্তী সীমান্তের ৭৭/১এস নং পিলালের নিকট নদীর কিনারে মোটরসাইকেল ও ম্যানিব্যাগ সহ ব্যবহৃত জিনিসপত্র রেখে গোসলের উদ্দ্যেশে মাথাভাঙ্গা নদীতে নামে। এরপর থেকে সে নদীর পানিতে নিখোঁজ হয়।
পরে স্থানীয়রা নদীর কিনারায় মোটরসাইকেল ও মানিব্যাগ সহ কিছু জিনিসজিনিসপত্র পড়ে থাকতে দেখে তাদের সন্দেহ হয়। এসময় লোকজন বিজিবিকে খবর দিলে মাথাভাঙ্গা নদীর ধার থেকে মোটরসাইকেল ও তার ব্যাবহারের জিনিসপত্র উদ্ধার করলেও মোটরসাইকেল মালিকের কোন সন্ধান মেলেনা।
পরে তার পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে অনেক খোঁজাখুজি করে তার সন্ধান না পেয়ে ওইদিন রাতেই দর্শনা থানায় একটি সাধারন ডায়রি করে। যার নং-১০৭৯।
সে নদীর পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়েছে এমন তথ্যে ভিত্তিতে রোববার নিখোঁজ ঝলককে খুজতে মাথাভাঙ্গা নদীতে তল্লাসী চালায় যশোর থেকে আগত ডুবুরীরদল।
তল্লাসীর এক পর্যায় বিকাল ৫টার দিকে জয়নগর গ্রামের ভারত সীমান্তের ৭৭/১ এস নং পিলারের ভারত অভ্যান্তরের ৫০ গজ ভিতর থেকে নিখোঁজ ঝলকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে উদ্ধার হওয়া লাশ তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে দর্শনা থানা পুলিশ। রোববার রাতে মোবারকপাড়া কবরস্থানে বেদনা-বিধূর পরিবেশে তার দাফনকার্য সম্পন্ন হয়েছে।
দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ এ,এইচ,এম লুৎফুল কবীর বলেন, পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় তার মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।