চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার দর্শনা থানার ডিহিকৃষ্ণপুর সুবদপুর গ্রামে প্রেমিকার বিয়ের খবরে কলেজ ছাত্র প্রেমিক সবুজ বিষপানে আত্নহত্যা করেছে।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশের দাফন সম্পন্ন করেছে পরিবারের লোকজন।
এদিকে একমাত্র ছেলের আত্নঘাতি এ সিদ্ধান্তে পরিবারজুড়ে চলছে শোকের মাতম। মায়ের অভিযোগ, মেয়ের পরিবারের লোকজন তাঁর ছেলেকে আত্নহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য করেছে।
গ্রাম সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের ডিহিকৃষ্ণপুর সুবদপুর পাড়ার আব্দুর রহমানের ছেলে দর্শনা সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইব্রাহীম ওরফে সবুজ (২০) বেশখিছু দিন ধরে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে তোলেন প্রতিবেশি এক মেয়ের সাথে। এ নিয়ে দু’পরিবারের মধ্যে জানাজানিও হয়।
সবুজের মা সাবিয়া খাতুন অভিযোগ করে বলেন, মেয়ের বাবা বিদেশে থাকার কারণে বিষয়টি মেয়ের মাকে বলা হয়। মেয়ের মা আমাদের আশস্ত করে দু’বছর পর মেয়ের বয়স হলে সবুজের সাথে বিয়ে দেয়া হবে। এ কথার ওপর বিশ্বাস রেখে ছেলে লেখাপড়ায় মনোযোগী হয়।
গঠাৎ গত রোববার মেয়ের মা তার মেয়েকে মোবাইল ফোনে জনৈক এক ছেলের সাথে তার মেয়ের বিয়ে দেয়। এ খবর সবুজ জানতে পেরে উতালা হয়ে পড়ে।
তিনি আরও বলেন, রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সবুজ ভাত খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। রাতে অনেক খুঁজাখুজি করেও তার সন্ধান মেলে না।
সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ধানে পানি দিতে গিয়ে গ্রামের লোকজন দেখতে পায় নুহুর পুকুরপাড়ে সবুজের লাশ পড়ে আছে।
হিজলগাড়ী ক্যাম্প পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করেন। ময়না তদন্ত শেষে গতকাল সেমাবার এশার নামাজ পর নামাজের জানাযা শেষে লাশের দাফন সম্পন্ন করে পরিবারের লোকজন। এদিকে হৃদয় ঘটিত ব্যাপারে কলেজপড়ুয়া একমাত্র ছেলের মৃত্যুতে পরিবার জুড়ে নেমে আসে শোকের মাতম।
সবুজের পরিবার থেকে অভিযোগ তোলা হয় মেয়ের পরিবারের লোকজনের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি এবং তা ভঙ্গকরার কারণে সবুজ বিষপান করে আত্নহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে।
এনিয়ে দর্শনা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। এব্যাপারে মেয়ের মা ফাইমা খাতুনকে নাবালক মেয়েকে মোবাইল ফোনে বিয়ে দিয়েছেন বলে। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বিয়ের বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন।
এস আই তাপস সরকার বলেন, ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসার পরই জানা যাবে প্রকৃত ঘটনা কি। রিপোর্ট হাতে আসলে তার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।