দর্শনা ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামে মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়েছে বিজিবি। এ অভিযানে ৩২ বোতল ফেনসিডিল সহ আটক করা হয় মাদক ব্যাবসায়ী রুবেল মিয়াকে। বিজিবির উপস্থিতি টেরপেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় সিরাজুল ইসলাম নামে. এক মাদক ব্যাবসায়ী। এসময় দর্শনা পৌরসভার কাউন্সিলর আশুর উদ্দিন আশু নামের এক কাউন্সিলর পড়ে গ্যাড়াকলে। অবশেষে বিজিবির কবল থেকে হয় মুক্ত। আটককৃত আসামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দর্শনা থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি।
বিজিবি’র মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার ভোর রাত পৌনে ৫টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঝিনাইদহ মহেশপুর-৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের চুয়াডাঙ্গা জেলারজীবননগর উপজেলার উথলী বিওপি ক্যাম্পের নায়েক সাহেদ আলী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে টহল দেওয়া কালে জানতে পারে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন পৌর এলাকার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের বড় মসজিদ পাড়ার মৃত আ. মান্নানের ছেলে রুবেল মিয়ার বাড়ি অবৈধ্য মাদকদ্রব্য ভারতীয় ফেনসিডিল বিক্রির উদ্দ্যেশে তার নিজ বসত বাড়িতে অবস্থান করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে মাদক ব্যাবসায়ীর বাড়িতে অবস্থান করলে বিজিবির উপস্থিতি টেরপেয়ে পালানোর চেষ্টা চালায় মাদক ব্যাবসায়ীরা। এসময় মাদক ব্যবসায়ী রুবেল মিয়াকে আটক করতে সক্ষম হলেও বিজিবির কবল থেকে পালিয়ে যায় দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন সীমান্তবর্তী পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ঝাঝাডাঙ্গা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম নামের এক মাদক ব্যাবসায়ী।
এরপর আটককৃত মাদক ব্যাবসায়ীর স্বীকারোক্তিতে বাড়ির পার্শ্ববর্তী আশরাফ উদ্দিনের বাঁশ বাগানের ভিকর হতে একটি সাদা প্লাষ্টিকের বাজার করা ব্যাগের মধ্য হতে ৩২ বোতল ফেনসিডিল আসামী নিজ হাতে বাহির করিয়া দেয়। এবিষয়ে বিজিবি রুবেলকে আটক ও সিরাজুল ইসলামকে পালাতক আসামী করে দর্শনা থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করেছে।
স্থানীয় সূত্র জানা যায়, গত বুধবার ভোর পৌনে ৫ টার দিকে ঝিনাইদহ মহেশপুর-৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার উথলী বিওপি ক্যাম্পের নায়েক সাহেদ আলী সঙ্গীয় সদস্য নিয়ে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে দর্শনা থানাধীন পৌর এলকার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের আ. মান্নানের ছেলে রুবেল মিয়ার বসত বাড়িতে।
এসময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে রুবেল মিয়াকে আটক করতে সক্ষম হলেও সাথে থাকা অপর এক মাদক ব্যাবসায়ী পালিয়ে যায়। এরপর রুবেল মিয়াকে সাথে নিয়ে মাদক উদ্ধারে অভিযান চালায় বিজিবি। এঘটনার খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পৌছায় দর্শনা পৌর সভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশুর উদ্দিন।
এরপর মাদক উদ্ধার করে দেওয়ার কথা বলে বিজিবির হেফাজত থেকে রুবেল মিয়াকে নেয় কাউন্সিলর আশুর উদ্দিন আশুর হাতে। এসময় আশুর উদ্দিনের কবল থেকে পালিয়ে যায় মাদক ব্যাবসায়ী রুবেল। যার ফলে আশুর উদ্দিনকে বিজিবি হেফাজতে বিওপি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে বেলা ১১ টার দিকে দর্শনা পৌর মেয়র সহ কাউন্সিলরেরা রুবেলকে সাথে নিয়ে যায় বিওপি ক্যাম্প বিজিবির নিকট হাজির করে পৌর কাউন্সিলর আশুর উদ্দিনকে মুক্ত করে নিয়ে আসা হয়।
এদিকে আশুকে নিয়ে গ্রাম জুড়ে নানামূখি গুঞ্জণ শুরু হয়েছে। সে কাউন্সিলর হওয়ার পর থেকে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সক্ষতা রেখে চলেছে। প্রশাসনের লোকজন গ্রামের কোন ব্যাক্তিকে কোথাও মাদক সহ আটক হলেই তাকে ছাড়াতে ছুটে যান সেখানে। এরপর শুরু করে আসামী ছাড়াতে প্রশাসনের সাথে দেন-দরবার।তার সহযোগীতার কারণে মাদক ব্যাবসায়ীরা সাহস যোগীয়ে মাদক ব্যাবসায় জোড়ালো ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যাবসায়ীদের মামলা থেকে অব্যাহতি দিতেও প্রশাসনের সাথে সখ্যতা গড়ে মাদক ব্যাবসায়ীদের সাফাই গাইতে থাকে বলে অভিযোগ উঠেছে।