দর্শনা শৈলমারী গ্রামে এক স্বামীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তার স্ত্রীর। এ অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারের নামে ডাকা হয় দর্শনা থানায়। এসময় বাদি-বিবাদি সহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গকে নিয়ে থানায় হাজির হলে বিবাদি সাহেব আলীকে ধরে থানা কাষ্টরিতে আটকে রাখা হয়। এদিকে বিচার-সালিশের নামে থানায় ডেকে বিবাদিকে আটকে দেওয়ার ঘটনায় দর্শনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন।
অভিযোগে জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের দর্শনা থানাধীন শৈলমারী গ্রামের মাঝপাড়ার মৃত আকবার আলীর ছেলে মিজানুর রহমান দর্শনা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগে বলেন, আমার ছেলে মো: সাহেব আলীর স্ত্রী মোছা: সহিদা ওরফে নূপূরের সহিত সংসার করাকালে বিগত ৪/৫ মাস পূর্বে অন্যথায় পরকীয়ায় লিপ্ত হয়।
এ পরকিয়ার ঘটনা নিয়ে তাদের উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে উক্ত বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আপোষ মিমাংসা করা হয়। এ আপোষ-মিমাংসার পরেও আমার ছেলের স্ত্রী সহিদা ওরফে নুপুর পূণরায় পরকীয়ায় লিপ্ত হয় এবং ঘটনা সম্পর্কে আমার ছেলে অবগত হওয়ার পর তার স্ত্রীকে মারধর করে।
উপরোক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে আমার ছেলের স্ত্রী সহিদা ওরফে নুপুর কয়েকদিন পূর্বে আমার ছেলে সাহেব আলীর নামে দর্শনা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে। এ অভিযোগের তদন্তভার দর্শনা থানার এস,আই নিতিশ কুমারের উপর।
এঘটনায় গত ২১ আগষ্ট সোমবার দর্শনা থানার এসআই নিতিশ কুমার উক্ত ঘটনা মিমাংসার জন্য বিকাল সাড়ে ৫ টায় আমার ছেলে ও তার স্ত্রী মোছা: সহিদা ওরফে নুপুরকে দর্শনা থানায় হাজির হতে বলে। পরবর্তীতে আমি সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় দর্শনা থানায় উপস্থিত হওয়া মাত্রই দর্শনা থানার এসআই নিতিশ কুমার আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে থানার কারাগার বন্দি করে রাখে।
এ আপোষ-মিমাংসায় আমি সহ উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়ন আ.লীগ সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহব্বায়ক ও দর্শনা সরকারী কলেজের সাবেক ভিপি জামাল উদ্দিন, দর্শনা ট্রাক ও ট্রাংকলরী শাখার সভাপতি ইস্রাফিল হোসেন হাবলু, বেগমপুর ইউনিয়ন আ.লীগ সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, মোবারক হোসেন (ড্রাইভার), আলমঙ্গীর হোসেন সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
তিনি আরও বলেন, সালীসের নামে থানায় ডাকিয়া আনিয়া দর্শনা থানার এসআই নিতিশ কুমার যে কর্মকান্ড ঘটইয়াছে তাহা অপমান জনক ও ক্ষমতার অপব্যবহার বলে মনে করি এবং উক্ত ঘটনায় আমি সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের সম্মানের হানী ঘটে।
এবিষয়ে দর্শনা থানার এসআই নীতিশ কুমার বলেন, সালিস বৈঠকের নামে কাউকে ডাকা হয়নি। তার স্ত্রী তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করলে তাকে আটক করা হয়। দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, তার স্ত্রীকে মেরে হাত ভেঙ্গে দেওয়ার ঘটনায় তার স্ত্রী তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। যা গতকাল সোমবার সন্ধা ৬ টা ৩৫ মিনিটে মামলা রেকর্ড হয়েছে।