দর্শনার উজলপুর গ্রামে ১৬ দিনের ব্যবধানে দুটি পবিত্র কোরআন শরিফ পুড়ানোর অভিযোগ উঠেছে আনিছ উদ্দিন নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আনিছ উদ্দিনকে পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছে গ্রামবাসী।
আজ শুক্রবার দুপুর ২ টার দিকে দর্শনা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আমান উল্লাহ, এসআই আহাম্মদ আলী বিশ্বাস ও এসআই সুজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তাকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়।
ঘটনার বিবরণে জানাগেছে, আজ শুক্রবার দুপুর ২ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন বেগমপুর ইউনিয়নের উজলপুর গ্রামের মৃত রহমান মন্ডলের ছেলে আনিছ উদ্দিন (৫৫) গ্রামের ছটাংগার মাঠে তার নিজ জমিতে একটি কোরআন শরিফ পুড়ায়। এরপর মাঠ হতে গ্রামে ফিরে তা মানুষের নিকট প্রচার করে।
এমন খবর শুনারপর তার সত্যতা যাচায়ে মাঠে যায় গ্রামের লোকজন। ঘটনাস্থলে যেয়ে কোরআন শরীফ পুড়ানোর সত্যতা পায়। পরে পুলিশের খবর দিলে দর্শনা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আমান উল্লাহ আমান, এসআই আহাম্মদ আলী বিশ্বাস ও এসআই সুজন ঘটনাস্থল পৌছে প্রাথমিক তদন্ত শেষে কোরআন শরীফ পুড়ানোর অপরাধে আনিছ উদ্দিনকে আটক করে দর্শনা থানা পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ১২ এপ্রিল সে একটি কোরআন শরিফ আংশিক পুড়িয়ে গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে নজর আলী মাস্টারের বাড়ির গেটের সামনে রেখে যায়। পরে পুলিশ খবরপেয়ে সরজমিন পরিদর্শন করে কোরআন শরিফটি উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেয়।
স্থানীয়রা জানায়, আনিছ উদ্দিন বেশ কিছুদিন মানষিক ভারসাম্যহীন ভাবে চলাফেরা করছে। দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আমান উল্লাহ আমান জানান, পবিত্র কোরআন শরীফ পুড়ানোর অপরাধে ২৯৫ ধারায় মামলা দায়ের করে আসামীকে চুয়াডাঙ্গা কোট হাজতে পাঠানো হয়েছে।