দলের ভেতরে বর্ণচোরা সেজে যারা অর্থসম্পদ বৃদ্ধির চেষ্টা করে দলের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করবে, তাদের ছাড় দেয়া হবে না বলে হুশিয়ার করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি আজ সকালে রাজধানীতে সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ এ দেশের মাটি ও মানুষের সংগঠন, জনগণের বুকের গভীরে রয়েছে এর শেকড়। এই দলে এসে নাম ভাঙিয়ে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে কাউকে ভাগ্যবদলাতে দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, দলের দুঃসময়ের পরীক্ষিত কর্মীদের পেছনে রেখে আওয়ামী লীগে আশ্রয়ী-লোভী ও ষড়যন্ত্রকারীদের দলে আর সুযোগ নেই।
অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির বিষয়টি তুলে ধরে সেতুমন্ত্রী বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। এ বিষয়ে শেখ হাসিনা সরকার স্বপ্রণোদিত হয়ে দুর্নীতি উদ্ঘাটন করে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে আসছে।
‘ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান থেকে শুরু করে ত্রাণ কার্যক্রম, স্বাস্থ্য খাতসহ যেখানেই অনিয়ম-দুর্নীতি সেখানেই কঠোর অবস্থানে সরকার।’
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে জনগণকে বাঁচানোর লক্ষ্যে সরকার ও আওয়ামী লীগ সর্বাত্মক কাজ করছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিমধ্যে সব রাজনৈতিক কর্মসূচি বাদ দিয়ে ক্ষেত্রবিশেষ সীমিত করে জনগণের দুর্দশা কমানো, সংক্রমণ রোধ এবং জীবিকার নিরাপত্তা বিধানকে রাজনীতি হিসেবে নিয়েছে।
বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি অসহায় মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে সমালোচনার নামে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতাকাল উদযাপন করছে, তারা জনগণের দুর্দশা, অসহায়ত্ব চোখে দেখে না, বিএনপি সার্কাসের হাতির মতো নেতিবাচকতার বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া আর চিরাচরিত মিথ্যাচারকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে নিয়েছে।
তিনি বলেন, জনগণ এখন আর তাদের মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত হয় না। বিএনপির মরিচা ধরা কৌশল আজ অকৌশলে রূপ নিয়ে বুমেরাং হচ্ছে।
‘দেশের মানুষ এখন দোষারোপের রাজনীতি পছন্দ করে না। অথচ বিএনপি এমন মিথ্যাচার করে যে, তার জবাব না দিয়েও পারা যায় না। এখন রাজনীতি হতে হবে মানুষকে বাঁচানো ও বৈশ্বিক সংকট করোনার সংক্রমণ রোধ’-যোগ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। সুত্র-যুগান্তর