গাংনী জেটিএস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে ক্লাস বর্জন করেছে ছাত্রীরা। গত ৫দিন ধরে তারা এ দুনীর্তি অনিয়মের বিরুদ্ধে আন্দোলন করলেও কোন ফল না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছে দশম শ্রেণির ছাত্রীরা।
জানা গেছে, গত ১৮ তারিখ বুধবার স্কুল কতৃপক্ষ দশম শ্রেণিতে একটি নোটিশ দেয়। নোটিশে পরীক্ষা ফ্রি, বকেয়া বেতন ও উন্নয়ন ফ্রিসহ মোট ১৫র্শ টাকা বিদ্যালয় কতৃপক্ষ প্রদানের জন্য নির্দেশনা দেয়। নোটিশ দেখে দশম শ্রেণির ছাত্রীরা পরদিন বিদ্যালয় প্রধানের নিকট অতিরিক্ত টাকার বিষয়টি জানতে চায়। তিনি কোন সদউত্তর দিতে না পারায় তারা টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে। বিদ্যালয় কতৃপক্ষ
নোটিশের টাকা পরিসোধের জন্য জোর করলে দশম শ্রেণির ছাত্রীরা বিদ্যালয়ের ক্লাস বর্জন করে। গত ২১-০৯-২০১৯ তারিখ থেকে গতকাল বুধবার পযন্ত দশম শ্রেণির কোন ছাত্রী বিদ্যালয়ের ক্লাসে অংশ নেয়নি। কিন্তু কতৃপক্ষ আন্দোলনরত শির্ক্ষাথীদের কোন প্রকার আলোচনা না করে তাদেরকে হুমকি-ধামকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অনিয়ম-দূনীর্তিকে বৈধ করতে গিয়ে শিক্ষা অফিসকে উন্নয়ন ফ্রির টাকার কথা বলেছেন বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনরত ছাত্রীরা।
এব্যাপারে জেটিএস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ জাহাঙ্গীরের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ না করায় প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব নেওয়া হয়নি।
গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাশার বলেছেন, পরীক্ষার ফ্রি ৪র্শ টাকা, বকেয়া বেতন ও সাড়ে ৭র্শ টাকা উন্নয়ন ফ্রি নেওয়ার কথা শুনেছি। আগামীকাল বিদ্যালয়ে গিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয় কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করা হবে। যদি কতৃপক্ষ অপরাধ করে তাহলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
- নিজস্ব প্রতিবেদক