দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদের দিক নির্দেশনায় আন্তঃজেলা প্রতারক চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ।
আজ সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার কাঠালতলা বাজার নামক স্থান থেকে তাদের ২ জনকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার রামনগর গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে আলিফ ওরফে আলীহিম (৩৭), এবং একই গ্রামের মজনুর ছেলে পিন্টু (৩৫) চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন স্হান সহ পার্শ্ববর্তী মেহেরপুর, কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘাটে সহজ সরল দোকানদারকে টার্গেট করে নিজেদের ছাপানো ভূয়া মেমো দেখিয়ে কোম্পানির বিভিন্ন চমকপ্রদ অফার এর লোভ দেখিয়ে প্রতারনার মাধ্যমে নগদ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে পরবর্তীতে অর্ডারকৃত মালামাল সরবরাহ করার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সটকে পড়ে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যায়। প্রতারকদের তৈরীকৃত কয়েকটি ভূয়া মেমো বইয়ের পাতা উদ্ধার করে পুলিশ।
আরো জানা যায় উপজেলার বিভিন্ন দোকানে যখন প্রতারণার ফাঁদ পেতে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারক চক্র হাতিয়ে নেয় তখন দিশেহারা হয়ে প্রতারণার শিকার ব্যক্তিবর্গ দামুড়হুদা মডেল থানায় বিষয়টি জানাই। এবং শুধুমাত্র একটি মোবাইল নম্বরের সূত্রপাত ধরে দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশের চিরুনি অভিযান শুরু হয়। পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভাবে সোর্স লাগিয়ে সর্বশেষ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে প্রতারক চক্রের ২ সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়।
দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই তৌহিদুজ্জামান শেখ, এএসআই দিরাজ, এএসআই আলমঙ্গীর সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাদেরকে হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর কাঠালতলা বাজার নামক স্থান থেকে গ্রেফতার করেন। এ বিষয়ে জানাজানি হলে জয়রামপুর কাঠালতলা বাজার এর স্থানীয় দোকানদাররা দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রতারণার কারণে দুজন গ্রেপ্তার হয়েছে। আলিফ এর নামে চুরি, ধর্ষন, দস্যুতাসহ বিভিন্ন ধরনের ০৫ টি মামলা রয়েছে। এবং পিন্টুর নামে দস্যুতা, নারী নির্যাতনসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।