দামুড়হুদায় হিট স্ট্রোকে ৭ ঘন্টার ব্যবধানে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল ৩টার দিকে অতি তীব্র তাপমাত্রায় হিট স্ট্রোকে দামুড়হুদা উপজেলা সদরে মর্জিনা খাতুন (৬০) নামে এক নারী মারা গেছে। নিহত মর্জিনা খাতুন সদর ইউনিয়ন পরিষদ পাড়ার আজিম উদ্দীনের স্ত্রী। এর আগে মাঠে কৃষিকাজ করতে গিয়ে জাকির হোসেন নামে এক যুবক সকাল ৮টার দিকে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। নিহত জাকির হোসেন উপজেলার সীমান্ত সংলগ্ন ঠাকুরপুর গ্রামের আমির হোসেন ছেলে ও ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি।
নিহত জাকির হোসেনের পিতা আমির হোসেন জানান, রোদ গরমে মাঠের ধান মরার অবস্থা। ধানের জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য জাকির সকাল ৭টার দিকে মাঠে যায়। মাঠে যাওয়ার ঘন্টা খানের পর খবর পায় ছেলে মাঠে স্টোক করেছে। মাঠের অন্য কৃষকরা ছেলেকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, শনিবার সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৫৮ শতাংশ। এবং বেলা ১২ টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা চিল ১৮ শতাংশ। বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ১৮ শতাংশ। বিকেল ৬টায় তাপমাত্রা পারদ আরো বৃদ্ধি দাড়ায় ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৩২ শতাংশ।
নিহত মর্জিনা খাতুনের ছেলে কামরুল ইসলাম কামু জানান, বেলা ৩টার দিকে অতিরিক্ত তাপে আমার মা (মর্জিনা খাতুন) হটাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এসময় আমরা মাকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার জন্য অটো ভ্যানে উঠানোর সাথে সাথে মা মারা যায়। তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে আরো বলেন, মাকে হাসপাতালে নেওয়ার সময়ও টুকুও পেলাম না।
গত কয়েক দিন ধরে চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি থেকে তীব্র ও অতি তীব্র তাপদাহ। এই তাপদাহে জেলায় হিট এলাট জারি করে মাইকিং করা হচ্ছে এক সপ্তাহ থেকে।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা জানান, হটাৎ অসুস্থ হয়ে উপজেলা সদরের মর্জিনা খাতুন ও সীমান্তবর্তী ঠাকুরপুর গ্রামের জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তি মারা গেছে শুনেছি। তবে তিনারা হিট স্ট্রোকে মারা গেছে কিনা সেটা ডাক্তার ছাড়া বলা সম্ভব না।